শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৭

অসাম্প্রদায়িক চেতনা বাংলার চিরায়িত রুপ

ইতিহাস বলে বাংলাদেশের জনগণ অসাম্প্রদায়িক পক্ষের এক উজ্জল উদাহরণ। ব্যক্তি জীবনে আমরা বাংঙ্গালীরা বিভিন্ন ধর্মে বিশ^াসী হলেও সামাজিক জীবনে মায়ার বাঁধেন হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্দ, খ্রীষ্টান একে অপেরর সঙ্গে যেন মিলেমিশে একাকার।  সারা বছর এই বাংলায় যেন উৎসব লেগেই থাকে বছরে দু'টা ঈদ, শবে বরাত, কালী পূজা, দুর্গা পূজা, সরস্বতী পূজা, বৌদ্দ পূর্ণিমা, মাঘে পূর্ণিমা, চিবর দান, বড় দিন, নিউ ইয়্যার  যে বাপক উৎসাহ উদ্দীপনা হয় হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্দ-খ্রীষ্টান মাঝে তাতে বুঝা কঠিন কোনটা কার উৎসব।

রোজার ঈদে চাঁদ রাতে রাম-মালার ঘাটে বসে শিবু, লিটন, বিকাশ, শরীফ সবাই মিলে আমরা ঈদের চাঁদ দেখতাম। চাদঁ দেখা হলে আতঁশ বাজী ফুটাতাম। সকালে ঈদের নামায পরেই শিবু, লিটন, বিকাশ, শরীফ সবাই আমাদের বাসায় চলে আসত। দুপুরে খাওয়া-ধাওয়া করে বিকেলে সবাই বাড়ি ফিরত। শিবু, লিটন,বিকাশ মাংশ খেতনা বলে মা তাদের জন্য আলাদা করে মাছ ও মুরগীর মাংশ রান্না করত। ঈদ যে শিবু, লিটন,বিকাশদের উৎসব না এটা কখনো মনে হয়নি বা বুঝতাম না। রোযার সময় আরও মজা হত, সবাই মিলে ভোর রাতে সেহরী খাবার জন্য মহল্লায় দায়িত্ব পালন করতাম, তারাবীর নামায না পড়ে ঘোড়াঘোরি। সন্ধ্যার ইফতার সবাই মিলে ভাগাভাগি করে খেতাম। কোরবানী ঈদে অনেকে গরুর সাথে খাসী কোরবানি দিতেন, যাতে করে হিন্দু বন্ধুরা কোরবানির আনন্দে শামিল হতে পারে। আর শবে বরাত ও শবে কদরের রাতে সব বন্ধুরা মিলে সারা রাত জেগে শহরের বিভিন্ন মসজিদ ও মাজারে গিয়ে মিলাদে অংশগ্রহন। যার অন্যতম লক্ষ্য ছিল তাবারক সংগ্রহ।

একই ধরেনর ঘটনা ঘটেতা পূজার সময়, দুর্গা পূজা বাঙ্গালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। স্কুল থেকে ফেরার পথে পূজা মন্ডপ পরত, সেখানে মাঝে মাঝে গিয়ে পূজার প্রস্ততি দেখতাম। পূজার দিন সকাল থেকেই ঢাক বাজতে শুরু করত পাশাপাশি মাইকে পুরানো দিনের হিন্দি/বাংলা গান বাজত। আজানের সময় ঢাক ও গান বাজনা বন্ধ রাখা হত। সপ্তমীতে আমরা সবাই নতুন জামা পড়ে শিবু, লিটন, বিকাশদের বাড়ি যেতাম, তারাও নতুন জামা পড়ত। এলাকা এলাকা ঘুরে পূজা দেখতাম, চড়কিতে চড়তাম, নাড়–, সন্দেশ, জিলাপি খেতাম এবং ওরা অমাদের বাসায়ও এসব খাবার পাঠিয়ে দিত। পূজা মন্ডপের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করত আমাদের এলাকার মুসলমান বড় ভাইরা। এমন ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতীর উদাহরন পৃথিবীর কোথায় দেখা যায় না।

কিন্তু আজ ভাবতে সত্যিই কষ্ট হয়, যখন শুনি বা মিডিয়ায় দেখি হিন্দু, বৌদ্দ, খ্রীষ্টান ও আদিবাসিদের উপর হামলা হয়েছে। কোথাও কোথাও প্রতিমা, মন্দিরে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ দেয়া হয়েছে। তাহলে কি আগের সেই পারস্পরিক সহাবস্থান ও শ্রদ্ধাবোধের জায়গা অনেকটা নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির জায়গায় কি ফাটল ধরছে। কিন্ত এটাত হবার কথা নয় বংশানুক্রমিক ভাবে যে জাতি মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্দ, খ্রীষ্টান ও আদিবাসি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অটুট বন্ধনে বসবাস করে আসছে। সোশ্যাল মিডিয়ার ভুল তথ্য প্রচ্ারণায়, অপব্যবহার ও স¦ার্থনেস্বী মহলের অপচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জায়গায় মাঝে মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যেমন ২০১২ সালের রামু ট্র্যাজেডি, ২০১৬ সালে ব্রাক্ষনবাড়িয়ার নাসির নগরের হামলা, সম্প্রতি ২০১৭ সালে রংপুরে হিন্দু গ্রামে হামলা। সুবিধাভোগি স¦ার্থনেস্বী মহল আজ হাজার বছরের লালিত সংস্কৃতিকে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জায়গায় ফাটল ধরাচ্ছে। এই বিষয়ে আমাদের সর্তক থাকতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং এই বিষয়ে নিজে সচেতন হতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যেগ গ্রহন করতে হবে। সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য উস্কানি মূলক সংবাদ, তথ্য সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, শেয়ার বন্ধ করতে হবে। এই দেশ আমাদের সবার মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্দ, খ্রীষ্টান ও আদিবাসি সবার সমান অধিকার। সবাই তার নিজস্ব ধর্ম-কর্ম পালন করার অধিকার রয়েছে।
মনে রাখতে হবে বৈচিত্রতা জাতিকে সমৃদ্ধ ও সুন্দর করে । একটি দেশ তখনই  সমৃদ্ধ ও উন্নত যখন সকল ধর্ম ও মতের লোকেরা সমান রক্ষিত ও স্বাধীন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রিয় বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে গড়ে তুলে সম্প্রীতীর দৃষ্টান্তকে পুনরায় স্থাপন করতে হবে। একই সুরে সবাই মিলে আগের মত করে গাইতে চাই, গ্রামের নওজাওয়ান হিন্দু-মুসলমান মিলিয়া বাংলা গার আর মুশির্দী গাইতাম..আগে কি সুন্দর  দিন কাটাইতাম..।


বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৭

শুধু আইন বা নীতিমালা নয় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চাই ব্যক্তি সচেতনতা ও সামাজিক উদ্যোগ

আইন বা নীতিমালা তৈরী ও প্রণয়ন করে অনেক সমস্যা সমাধান করা যায়। কিন্তু কিছু বিষয় রয়েছে যা আইন বা নীতিমালা তৈরী করেও সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।   যার জন্য প্রয়োজন রয়েছে ব্যক্তি সচেতনতা ও সামাজিক উদ্যোগ। তেমনি একটি বিষয় হল সড়ক দুর্ঘটনা। গত কয়েক বছর ধরে সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশে ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পাশাপাশি বেড়েছে বিকলাঙ্গের সংখ্যা, যা মৃত্যুও চেয়ে ভয়ানক। গত পাঁচ বছরে সড়ক দুর্ঘটনা জনিত মৃত্যুর সংখ্যা প্রায়ই বিশ হাজার ও জখম হয়েছেন ১৫০০০।


সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে যে কয়টি বিষয়কে দায়ী করা হচ্ছে সেটি হলো অপরিকল্পিত নগরায়ণ, মোটরযানের উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও সচেতনতার অভাব। গবেষণায় দেখা যায় বাংলাদেশের নগরায়ণের হার ৪% এবং মোটরযান বৃদ্ধির হার ৮%, ফলস্বরুপ সড়ক গুলোতে ট্রাফিক জ্যাম, রাস্তার কাঠামোগত অবনতি এক প্রকট আকার ধারন করেছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল জন সচেতনতার অভাব। সম্প্রতি রাস্তায় খুবই চোখে পড়ে, মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হওয়া, কানে ইয়ার ফোন বা ব্লু-টোথ লাগিয়ে ব্যস্ত সড়ক বা রেল পথে হাটা ও পার হওয়া তারপর সড়ক দুর্ঘটনার পতিত হওয়া। আপনি যে কোন দিন যে কোন সময় আপনার এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মোড়কের পাশে কিছুক্ষণ দাড়াঁন। তারপর চোখে পড়বে সেই সব দৃশ্য, ট্রাফিক সিগন্যাল তোয়াক্বা না করে ব্যস্ত সড়ক পার হচ্ছেন এবং কানে মোবাইল ফোনে  কথা বলে রাস্তা পরাপার। এবং অনেকক্ষেত্রে নিজেই ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় রাস্তার পারাপার হচ্ছে যেমন একটি হাত তুলে চলন্ত সড়ক পার হচ্ছেন, ওভার ব্রীজ ব্যবহারের বদলে রাস্তার মধ্যে দিয়ে হেটে ঝুকিঁপূর্ণ ভাবে রাস্তা পার হচ্ছে। মহাসড়কে দেখা যায় রেইস প্রতিযোগিতা কার আগে কে গন্তব্য স্থলে পৌছবে। আর এই সব পরিস্থিতেতে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা ও ঝড়ছে মূল্যবান প্রাণ। এই মুহূর্তে মনে পড়ছে জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র ওবায়দুল্লাহর কথা। অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় সেমিষ্টারের ছাত্র ২০১৬ সালের ২০ই মে কমলাপুরগামী ট্রেনের নীচে কাটা পড়ে মারা যান তিনি, যার হাতে ছিল আইসক্রিম আর কানে ছিল মুঠোফোন। আবার গাড়ি চালানো অবস্থায় চালকের মুঠোফোনে কথা বলা খুব দৃশ্যমান। যদিও গাড়ির ভিতর লেখা থাকে চলন্ত অবস্থায় চালকের সহিত কথা বলবেননা। আর চালক সাহেব ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ির স্টেয়ারিং ঘোরাচ্ছেন, ক্লাচ-ব্রেক নিয়ন্ত্রন করছেন। কিন্তু ২০০৭ সালে মোটরযান আইনে আছে কোনো চালক গাড়ি চালনা অবস্থায় মুঠোফোনে কথা বললে ৫০০ টাকা জরিমানা ও জেল দন্ড দেওয়া যাবে। কিন্ত এই ধরনের আইনের প্রয়োগের খবর তেমন একটা চোখে পড়েনা। 


প্রত্যেকটা জীবন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও মুল্যবান। নিজের জন্য না হোক,  প্রিয়জন, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র কথা চিন্তা করে আমাদের সবাইকে সুস্থ হয়ে বাচঁতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা থেকে আমাদের মুল্যবান জীবনকে রক্ষা করতে হবে। সেইজন্য আমাদেরকে সচেতন হতে হবে, সড়ক নিরাপত্তা প্রতীক ও ব্যবহারের জ্ঞান সবাইকে জানতে হবে ও জানাতে হবে। পাঠ্য-পুস্তকে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়গুলো অর্ন্তভূক্ত করতে হবে। প্রতিযোগিতা মূলক ভাবে গাড়ি চালানো পরিহার করতে হবে এবং এই ব্যাপারে চালক ও যাত্রীকে সচেতন হতে হবে। মহাসড়কের সমস্ত ব্ল্যাক স্পটগুলো চিহ্নিত করে তা নিরসনে ট্রিটমেন্ট করতে হবে। প্রকৃত লাইসেন্স ধারী দের দিয়ে গাড়ি চালনা করতে হবে এবং এই ব্যাপারে গাড়ি চালক ও সহকারীদের জন্য প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার আয়োজন করতে হবে। রাস্তার বাঁেক, মোড়ে ও চৌরাস্তায় গাড়ি দাড়করিয়ে যাত্রি উঠা ও নামানো একে বারে বন্ধ করতে হবে। নির্দিষ্ট জায়গায় গাড়ি দাড়করিয়ে যাত্রি উঠা ও নামানো করতে হবে। বর্ষা মৌসুমে কথা চিন্তা করে সড়ক তৈরীর উপকরনে পরিবর্তন আনতে হবে এবং এই সময় রাস্তা দূত মেরামত করতে হবে। যাতে বর্ষায় রাস্তার যে ক্ষতি ও দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে তা অনেকাংশে কমিয়ে আনা যায়। শীতকালের কথা চিস্তা করে মহা সড়কে লাইটিং এর ব্যবস্থা করা ও যানবাহনে নিয়ন আলোর ব্যবস্থা রাখা।

পরিশেষে বলতে চাই, আইন, নিয়ম নীতি, কাঠামোর সংস্কার করে হয়ত সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা যেতে পারে। তবে ব্যত্তিগত সচেতন ও কিছু বদ অভ্যাসের পরিবর্তন না করলে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আমাদের স্বার্ভিক অর্জন চেষ্টা ব্যার্থ হবে। তাই আসুন সড়ক দুর্ঘটনা রোধে, মূল্যবান জীবন ও সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে ব্যক্তিগত সচেতনতার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি।

সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০১৭

Flood Crisis in Southern Asia: Bangladesh, India and China Perspective

Southern Asia is already the wettest area on the continent and one of the wettest regions in the world, receiving an average of at least 1000mm of rainfall a year. According to statistics from Belgium's Universite Catholique de Louvain's Emergency Events Database, since 1950, more than 2.2 million people in these countries have been killed by flooding. Intergovernmental Panel on Climate Change (IPCC), wrote in its latest report the Asia region was already suffering "huge economic losses" from weather and climate disasters, with one quarter of the entire world's economic losses from disasters in Asia alone.

For large established cities there are two options- physical infrastructure to keep the water away from citizens and preventative measures to keep people away from the water. And preparedness, early warning systems, green infrastructure, things like that. Research found that early warning systems are perhaps the best investment that a country and a city can make. A proverb has "A dollar invested in early warning systems can save four to eight dollars in avoided losses later on."

In regards of Bangladesh, a study in 2010 found it would cost more than $2.6 billion to adequately protect Bangladesh's roads, railways and drainage systems. But, experts suggest local changes won't be enough though, and say flood basins in China, India and Bangladesh need to coordinate across cities to find the best locations for housing and to halt flooding in its path as well establish a mutual agreement on inter river linking on that continent. 

Source: http://edition.cnn.com/2017/07/24/asia/climate-change-floods-asia/index.html?sr=fbCNN072517climate-change-floods-asia1010AMVODtop

বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০১৭

তথ্য সচেতন যুব সমাজ গঠনে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার ও ভূমিকা

বাংলাদেশ সহ সারা বিশে^ সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপক জনপ্রিয়তা বেড়েছে। বিশ^জুড়ে নানাদেশে বিভিন্ন মত-পথ প্রচার প্রকাশ, সচেতনতা ও একত্রিত করা, তথ্য প্রচার করা, পণ্যের বিপণন করা, এমনকি প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত করার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া একটি বড় প্লাটফর্ম হয়ে দাড়িয়েছে। বাংলাদেশে স্মার্ট ফোন ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার বহুবিধ ব্যবহার। সোশ্যাল মিডিয়া এখন মুলধারার গণমাধ্যমের সমান্তরাল এবং বিকল্প হিসেবে কাজ করেছে। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ফলে উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাঠ পর্যায়ের কৌশল বাস্তবায়নে এক নতুন ধারা সৃষ্টি হয়েছে। স্বতঃস্ফূর্ত ও স্বপ্রণোদিত হয়ে বিবেকের তাড়নায় কিংবা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কিছু সৃষ্টিশীল মানুষ, উদ্যমী যুবক, ইতিবাচক নেতৃত্ব ও পরিবর্তনের দূতরা তুলে ধরছে সমাজ উন্নয়নের সফলতা, সুযোগ ও ক্ষেত্র-সমূহ। এবং ব্যাপক ভাবে প্রচার করছে ব্যক্তি, দল ও সমাজের উত্তম চর্চা সমূহ। এই চর্চা সমাজ পরিবর্তনে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে যার ফলে কমিউনিটিতে সম্প্রতি ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে এবং যুবরা তথ্য সচেতন ও কর্মদক্ষ হয়ে গড়ে ওঠার ক্ষেত্র তৈরী হচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়া কি?
সহজ ভাষায় সোশ্যাল মিডিয়াকে বলা যেতে পারে একটি ইন্টারনেট নির্ভর যোগাযোগের মাধ্যম যা আইসিটি উপকরণ ব্যবহার করে থাকে এবং এর দ্বারা এক বা একের অধিক মানুষের সাথে খুব সহজেই এবং খুব কম খরচেই তথ্য বিনিময় করা যায়। গতানুগতিক মাধ্যমের মতই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে দূর দুরান্তের খবর সংগ্রহ এবং বিনিময় করা যায়। খুব সহজেই বিপুল সংখ্যক বন্ধু বা দর্শকের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে কোন বিষয়ে মতামত গ্রহণ বা জনমত তৈরী করা যায়। কিন্তু গতানুগতিক মাধ্যমের সাথে এর পার্থক্য এই যে বিশ্বব্যাপী বা আঞ্চলিক সোশ্যাল মিডিয়ায় সহজেই যে কোন যোগাযোগ, মতবিনিময় বা আলোচনা তাৎক্ষনিক করা যায় । 

সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট গুলো হচ্ছে ফেইস বুক (Facebook), ইউ টিউব (YouTube), টুইটার (Twitter), গুগোল প্লাস (Google+), লিঙ্কড ইন (LinkedIn)  এবং ইন্সটাগ্রাম (Instagram)

সামাজিক মাধ্যম এখন সাধারণ মানুষের ব্যবহারের বাইরেও আরও বিভিন্ন মহলে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যেমন সরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং বেসরকারি সংস্থা। বন্ধু ও পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখা থেকে শুরু করে সরকারি বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের ভেতর যোগাযোগের ক্ষেত্রে, তৃণমূল পর্যায়ে সুশীল সমাজের সচেতনতামুলক কার্যক্রম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এবং ব্যবসায়ীদের পণ্য প্রচারের ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক মাধ্যম খুব কার্যকর ভুমিকা রেখে যাচ্ছে। 


তথ্য সচেতন যুব সমাজ গঠনে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার ও ভূমিকাঃ
যুবরাই সোশ্যাল মিডিয়া বেশি ব্যবহার করে থাকেন। পরিসংখ্যান মতে ১৮-৩৫ বয়সের প্রায়ই ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে। এবং এই তথ্য শহর টু গ্রামে ভিন্ন হতে পারে। তবে এই কথা সত্য যে, বাংলাদেশে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মধ্যে সিংহভাগ জনগোষ্ঠি যুবক শ্রেণী। যুবদের তথ্য সচেতন, কর্ম-দক্ষ, আত্ম-বিশ^াসী, দেশপ্রেমী ও রাজনৈতিক সচেতন হিসেবে গড়ে তুলতে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপক ব্যবহার ও ভূমিকা রয়েছে। এখন প্রায় সব সরকারি প্রতিষ্ঠান, অসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং স্বায়িত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান সবারই সোশ্যাল মিডিয়া পেইজ রয়েছে। অনেকক্ষেত্রে প্রকল্প ভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়ার পেইজ রয়েছে। আর এই সমস্ত পেইজে  যুবদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আপডেট দেওয়া হয়। যেমন; যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ফেইসবুকে পেইজে যুবদের দক্ষতা বৃদ্ধিও প্রশিক্ষণ বিষয়গুলো আপডেট দেওয়া হয়। একইভাবে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের ফেইসবুক পেইজে সঠিক শ্রম অভিবাসনের তথ্যগুলো শেয়ার করা হয়। এবং আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ফেইসবুক পেইজে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নাগরিকদের করনীয় দিক সমূহ শেয়ার করা হয়। বিভিন্ন এনজিও ও তাদের পরিচালিত কর্মকান্ডে সর্ম্পকে মতামত ও মূল্যায়ন করতে সোশ্যাল মিডিয়া মতামত সংগ্রহ ও ভার্চুয়াল কনফারেন্স এর আয়োজন করে থাকে। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এর সোশ্যাল মিডিয়া পেইজে চাকুরীর ও পেশাগত উন্নয়ন এর তথ্য, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পেইজে আর্থিক সুবিধা ও উদ্যেত্তা হবার তথ্য শেয়ার করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পেইজে বৃত্তি, উচ্চ শিক্ষার তথ্য প্রকাশ করা হয়। 

শিক্ষাক্ষেত্রে বহুল ব্যবহ্যত বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার ঠিকানাঃ
www.youtube.com
www.youthopportunities.org

চাকুরী লাভ ও পেশাগত উন্নয়নে বহুল ব্যবহ্যত বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার ঠিকানাঃ
www.bdjobs.com
www.youthop.com
www.bpsc.gov.bd
www.unv.org

আউটসোসিং কাজের জন্য মার্কেট প্লেসঃ

আর এই সমস্ত খবরা-খবর ও তথ্য আদান প্রদান অধিক মানুষের সাথে খুব সহজেই এবং খুব কম খরচেই করা যায়।  এই ক্ষেত্রে আমাদের করনীয় হবে ঐ সমস্ত প্রান্তিক যুব গোষ্ঠিকে সংশ্লিষ্ট বিভাগ-অধিদপ্তর, মার্কেটপ্লেস গুলোর সোশ্যাল মিডিয়া পেইজ সর্ম্পকে যুবদের অবহিত করা ও সংযোগ তৈরী করিয়ে দেওয়া। এই ক্ষেত্রে সমাজ উন্নয়ন সংস্থাগুলো অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে পারে। যেমন: সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকে সহজ ও প্রবেশগম্য করার জন্য কর্মসূচী হাতে নেওয়া, প্রয়োজনীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সোশ্যাল মিডিয়া পেইজের লিংক সংগ্রহ করে তা যুব সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া। এলাকা ভিত্তিক, বিষয় ভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া পেইজ তৈরী করে সেখানে বিভিন্ন সোশ্যাল গ্রাফিকস প্রকাশ করে বিষয় ভিত্তিক সচেতনতা তৈরী করা। 

কিন্তু কোন কিছু যতোই জনপ্রিয় হোক না কেন,তার কিছু নেগেটিভ দিক তো থাকবেই! এবং সে ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা সতর্ক থাকতে হয়। একইভাবে দক্ষ ও তথ্য সচেতন যুব সমাজ গঠনে যুবদের অধিক সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে। যেমন-সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তি, দল, রাস্ট্র সর্ম্পকে উদ্দেশ্যমুলক ভাবে মিথ্যা, অশ্লীল অথবা মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করা থেতে বিরত থাকা ও সর্তক হওয়া। তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া আর্শীবাদী নিয়ামক হিসেবে একটি তথ্য সমৃদ্ধ, দক্ষ যুব সম্প্রদায় গঠনে কার্যক্রর ভূমিকা পালন করবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সবাই উপভোগ করবে।


শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০১৭

পাহাড়ধস জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব

সাধারণত জলবায়ু পরিবর্তন বলতে বুঝায় জলবায়ু নিয়ন্ত্রক নিয়ামক সমূহের অস্বাভাবিক আচরণকে। যেমন অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, বায়ু-প্রবাহ, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ইত্যাদির ফলে, মরুকরণ, সুপেয় পানির অভাব, মাটির লবণাত্ততা বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি (ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস, জলাবদ্ধতা, টর্নেডো, নদী ভাঙ্গন, পাহাড়ধস, ভূমিকম্প, সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বৃদ্ধি, বর্জপ্রাত), প্রাকৃতিক সম্পদ হ্রাস, খাদ্য সংকট, স্বাস্থ্য ঝুকিঁ ও সামাজিক অবক্ষয় প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। জলবায়ু পরিবর্তন এর কারণ হিসেবে দুটি কারণকে মূলত দায়ী করা হয় (১) প্রাকৃতিক কারণ (২) মানব সৃষ্ট কারণ। তবে একথা নিশ্চিত যে, জলবায়ু পরিবর্তন এর জন্য দুটি কারণই দায়ী। জলবায়ু পরিবর্তন একটি নিয়মতান্ত্রিক প্রাকৃতিক ঘটনা তার প্রমাণ আমরা জিওলজিক্যাল টাইম স্কেল থেকে জানতে পারি। তবে এই নিয়মতান্ত্রিক প্রাকৃতিক ঘটনাকে ত্বরান্বিত করছে মানব সৃষ্ট কারনগুলো (দ্রুত শিল্পায়ন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, কার্বন নিঃসরন, গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরন)।

আর্ন্তজাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জার্মান ওয়াচ এর প্রকাশিত গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেস্ক অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতির বিচারে শীর্ষ ১০ টি ক্ষতিগ্রস্থ দেশের মধ্যে প্রথমেই অবস্থান করছে বাংলাদেশ। বর্তমানে আরেকটি গবেষণা সংস্থার মতে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। এই সমস্ত  গবেষণার প্রমান আমরা গভীর অনুভব করছি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সম-সাময়িক বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটনার মাধ্যমে। গত এক দশকে প্রায় দশটির অধিক ছোট বড় ঘুর্ণিঝড় বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে। এবং একটির প্রভাব না কাটতে আরেকটি ঘুর্ণিঝড় আঘাত আনছে। যেমন গত মাসে আঘাত হানে প্রথম শ্রেণীর ঘুর্ণিঝড় মোরা, যার আঘাতে বাংলাদেশে দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের হাজার হাজার বাড়ি-ঘর  ধ্বংস হয় ও লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং মৃত্যু হয় দশের অধিক। এই সব ঘুর্ণিঝড়ের ক্ষত নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে বাংলাদেশের বিপুল-সংখ্যক উপকূলীয় মানুষ। ঘুর্ণিঝড় মোরার ক্ষত না পোষাতেই ঘটে গেল পাহাড়ধস যা কেড়ে নিল প্রায় দুইশত তাজা প্রাণ। বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত নিম্ন চাপের প্রভাবে টানা বর্ষণের পর ১২-১৩ জুন ২০১৭ রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম ও বান্দরবান বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসে অন্তত ২০০ মত মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রাঙ্গামাটিতে মৃত্যুও সংখ্যা অধিক যেখানে সেনাসদস্যও রয়েছে। এই প্রাণহানির সংখ্যা অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ২০০৭ সালে পাহাড়ধসে চট্টগ্রামে প্রায় ১৩০ জনের মৃত্যু ঘটে।

পাহাড়ধস 

পাহাড়ধস বলতে বুঝায় অতিরিক্ত বর্ষণের ফলে পাহাড়ের উপর থেকে মাটি ও পানি মিশে কাদা আকারে বিপুল পরিমাণে অভিকর্ষণ শক্তি দ্বারা ত্বারিত হয়ে নীচে নেসে আসা। অনেকক্ষেত্রে বর্জপ্রাত এতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। যার প্রমাণ আমরা চট্টগ্রামে ঘটে যাওয়া পাহাড়ধসগুলোতে দেখতে পায়।


পাহাড়ধসের কারনঃ 
পাহাড়ধসের অন্যতম কারণ হল পাহাড়ের ঢালের অস্থিশীলতা। এইক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন এর কারণ এরমত দুটি কারন রয়েছে (১) প্রাকৃতিক কারণ (২) মানব সৃষ্ট কারণ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক কারণকে ত্বরানীত করছে মানব সৃষ্ট কারণ। চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের মূল কারণ হল মানব সৃষ্ট কারণ। যেমন বসবাস ও যাতায়তের জন্য মানুষ পাহাড় কাটছে, অনেকক্ষেত্রে লম্বালম্বিভাবে পাহাড় কর্তনের প্রভাবে পাহাড় তার মাটিকে ধওে রাখার প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। সেইক্ষেত্রে যখন ভারী বর্ষণ হয় তখন পাহাড়ের উপর থেকে মাটি ও পানি মিশে কাদা আকারে নিচে নেমে আসে ও পাহাড়ধস ঘটছে। পাহাড়ি এলাকায় কৃষি কর্মকান্ডের ফলে পাহাড়ধস ঘটতে পারে। যেমন কৃষি কাজের ফলে পাহাড়ের টপ সয়েল খনন করতে হয়। এইক্ষেত্রে অধিক বর্ষণ হলে পাহাড়ের অনাবৃত অংশের মাটির ক্ষয় ঘটে এবং অনেকক্ষেত্রে পাহাড়ের ঘর্তের সৃষ্টি হয়। এই ঘর্তে বৃষ্টি পানির প্রবেশ ঘটে এবং ভূমিস্থ পানির চাপকে বাড়িয়ে দেয়। ফলশ্রুতিতে প্রাকৃতিকভাবে পাহাড়ের পানি ধারন-ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং দুর্বল ফাটল স্থান দিয়ে প্রচন্ড শক্তি নিয়ে কাদা ও পানিসহ নিচে নেমে এসে পাহাড়ধস ঘটায়। তাছাড়াও যানবাহনের সৃষ্ট কম্পন ও বিস্ফোরনের ফলে পাহাড়ি এলাকায় পাহাড়ধস হতে পারে।
পাহাড়ের পাদদেশে ঝুকিঁ-পূর্ণ বসতি

উপরোক্ত মানব সৃষ্ট কারণ ছাড়াও প্রাকৃতিকভাবে পাহাড়ধস হতে পারে। যেমন নদী বা সমুদ্রের ঢেউয়ের ফলে ভূমিক্ষয়, বৃষ্টিপাত বা বরফগলে, ভূমিকম্পের ফলে, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যৎপাতের ফলে পাহাড়ধস হতে পারে (উৎসঃ উইকিপিডিয়া)। বাংলাদেশ এর ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থা বিবেচনা করলে পাহাড়ধসের প্রধান কারণ হলো মানব সৃষ্ট যেমন; উন্নয়নের নামে অনির্বিচারে পাহাড় কর্তন, আবাসনের জন্য পাহাড় কর্তন, পাহাড়ি এলাকায় অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ব্যবহার করে কৃষি কাজ ও পাহাড়ের বন উজার। তাছাড়াও বাংলাদেশের পাহাড় সমূহের মাটির গঠন ও বুননে বালির পরিমান বেশি থাকা পাহাড়ধসের পক্ষে সহায়ক।

পাহাড়ধসের ক্ষয়-ক্ষতি ও মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য কাজ এখন থেকে কাজ শুরু করতে হবে। প্রথমত আমাদেরকে গবেষণা করে পাহাড়ধসে প্রবণ এলাকার একটি মানচিত্র তৈরী করতে হবে। মানচিত্র তৈরী হলে সেখান থেকে জুনিং ম্যাপ করে অগ্রসর হতে হবে। পরবর্তীতে ঐ সমস্ত ঝুকিঁ-পূর্ণ এলাকায় লোক-জনের বসবাস নিষেধ করতে হবে। এবং বর্ষা মৌসুমে সর্তক বার্তা দিয়ে স্থানীয় জনগণকে নিরাপদ স্থানে পাঠাতে হবে। ঝুকিঁ-পূর্ণ এলাকায় পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। উন্নয়নের নামে পাহাড় কর্তন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। পাহাড়ি এলাকায় যোগাযোগের জন্য টেকষই উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। পাহাড়ি এলাকায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ব্যবহার করে কৃষি কাজ প্রচলন করতে হবে। ব্যাপক বনায়ন করতে হবে। পাহাড়ধস এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স দলের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ধসের সর্তক বার্তা স্থানীয় গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করতে হবে, তাহলেই পাহাড়ধসের ক্ষয়-ক্ষতি ও মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনগত প্রভাব অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড়ধসের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটছে এবং এর প্রবণতা ও তীব্রতা দিন দিন বেড়ে চলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনগত ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় ক্লাইমেট নেগোসিয়েশন এর মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ আদায়ে কূটনৈতিক কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। বৈশি^ক ভাবে কিয়োটো প্রটোকল ও বালি এ্যাকশন প্লান এর যথাযথ প্রয়োগ করা ও সর্বাধিক কার্বন নিঃসরনকারী দেশ সমূহকে কিয়োটো প্রটোকল এর আওতায় নিয়ে আনা। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অভিযোজন, প্রশমন, গ্রিন প্রযুক্তি ও টেকষই উন্নয়নে গবেষণা ও অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবেলায় ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের শাখা কার্য্যলয় স্থাপন করতে হবে। স্থানীয় প্রেক্ষাপটকে মাথায় রেখে আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। উদ্ধার, ত্রান ও পূর্ণবাসন কর্মকান্ডে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানতে সম্পৃত্ত করতে হবে। তাহলেই জলবায়ু পরিবর্তনগত কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ দ¦ারা সংগঠিত ক্ষয়-ক্ষতি ও জীবন হানি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

বুধবার, ৭ জুন, ২০১৭

সৌদি আরব না কাতার : অগ্নিপরীক্ষায় বাংলাদেশ ও আতংকে ৪ লক্ষ শ্রম অভিবাসি ও তাদের পরিবার

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত হল শ্রমশক্তি রপ্তানি খাত। বর্তমানে বাংলাদেশের এক কোটির উপর মানুষ এখন পৃথিবীর নানা দেশে অভিবাসী হিসেবে কাজ করছেন। ২০১৬ সালে প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ বাংলাদেশী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অভিবাসন করেছে। এই অভিবাসীর ৮১ শতাংশই অভিবাসন করেছে  উপসাগরীয় আরব দেশগুলোতে আর বাকি ১৯ শতাংশ অভিবাসন হয়েছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায়। পরিসংখ্যান মতে  সবেচেয় বেশি বাংলাদেশি অভিবাসিত হয়েছে ওমানে যার সংখ্যা ১লক্ষ ৮১ হাজার আটশ ছয় জন। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সৌদি আরব যার সংখ্যা একলাখ ২৫ হাজার পাঁচশত ৮৮ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে সম্প্রতী বহুল আলোচিত কাতার এ বছর (২০১৬) কাতার গিয়েছেন একলাখ ১৫ হাজার দুইশ ২২ জন। বাহারাইনে রয়েছে চতুর্থ স্থানে। সামগ্রিকভাবে এই সমমÍ দেশগুলোর রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমাদের দেশের অর্থনীতিকে ভাবিয়ে তুলে।


সম্প্রতি, সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশ ‘অস্থিতিশীলতা’ সৃষ্টির অভিযোগে কাতারের সঙ্গে পররাষ্ট্র সম্পর্ক বন্ধ করে দেয়। জবাবে ওই দেশগুলোর সঙ্গে সব সম্পর্ক চুকিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় কাতারও। এরপর বিভিন্ন দেশ নিজ নিজ কৌশল অনুযায়ী সমর্থন দেয় এ দুই পক্ষকে। ভৌগোলিক দিক থেকে মধ্যপ্রাচ্য ও বাংলাদেশের দূরুত্ব অনেক হলেও এ দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে দেশ দুটির বড় প্রভাব রয়েছে। তাই এই সংকটের সময় বাংলাদেশ কাকে সমর্থন করবে! যেখানে জড়িয়ে আছে ৪ লক্ষ শ্রম অভিবাসির স্বার্থ ও তাদের পরিবারের ভাগ্য।

কাতারে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২০২২ সালে বিশ্বকাপ উপলক্ষে চলছে ব্যাপক নির্মাণকাজ। সেখানে শ্রম দিতে গেল বছরেই বাংলাদেশ থেকে গেছে অনেক নির্মাণ শ্রমিক। বর্তমান সংকটে সৌদির পক্ষে অবস্থান নিলে বিশাল এই জনশক্তির ওপর খারাপ প্রভাব আসতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। সম্প্রতি সৌদি নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসবিরোধী জোটে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ। কাতার এর মধ্যেই সেখানে কর্মরত সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ সম্পর্কচ্ছেদকারী দেশগুলোর নাগরিকদের চলে যেতে নির্দেশ দিয়েছে। আর জানিয়েও দিয়েছে, সম্পর্কচ্ছেদকারী দেশের বন্ধুদের সঙ্গেও সম্পর্ক রাখার বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করবে তারা। অন্যদিকে সৌদির নেতৃত্বে থাকা মার্কিন মিত্রজোটও এ বিষয়ে কঠোর। আমিরাত, সৌদিসহ অন্যান্য দেশ জানিয়ে দিয়েছে, কাতারের মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায় না তারা।


সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ইতিহাসটা বেশ পুরোনো। বাংলাদেশ থেকে সৌদিতে রপ্তানি করা জনশক্তির পরিমাণটাও নেহাত কম নয়। দীর্ঘদিন শ্রমিক পাঠানো বন্ধ ছিল গত বছর সরকারের প্রচেষ্ঠায় সেটা আবার শুরু হয়। আর কাতারেও অবস্থান করছে বাংলাদেশের অনেক শ্রমিক। তাঁদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে অনেকটাই চাঙ্গা রেখেছে। তাই দুই পক্ষের সঙ্গেই বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো রাখাটা জরুরী। 

বুধবার, ৩১ মে, ২০১৭

ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড: চাটগাঁ এপিসোড (জলাবদ্ধতা)

টিকে থাকার লড়াইয়ে আমাদের অনেক কিছুই জানতে হয় আজ আমরা জানাব কীভাবে বৃষ্টি হলে চট্টগ্রামে যাতায়ত করতে হয়। আমাদের মাষ্টার ট্রেইনার আশরাফ মিয়া শেখাবেন বৃষ্টি হলে কিভাবে চট্টগ্রামের রাস্তায় নানা বাধাবিপত্তি পেরিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অফিসে পৌছানো যায়। আমি সরাসরি চলে যাচ্ছি আশরাফ মিয়ার কাছে।

আমি আশরাফ মিয়া এখন আছি হালিশহর বড় পুলের কাছে, এ মুহূর্তে আমার ঘড়েিত সময় সকাল ৭ টা কুড়ি মিনিট। আমাকে ঠিক ৯টার মধ্যে চান্দগাওঁ আবাসিকে অবস্থিত আমার অফিসে পৌছতে হবে। আমার হাতে আছে ০১ ঘন্টা ৪০ মিনিট। তাই দেরি না কর মিশন শুরু করা যাক। আমি ৪০ মিনিট ব্যায় করব আমার সরজ্ঞাম তৈরি করতে এবং বাতি এক ঘন্টা ব্যায় করব যাতায়তে। প্রথমেই আমাকে খুজে বের করতে হবে একটা পলিথিন ব্যাগ। সারা বাসা খুজ করার পর বাতিজার বালিশে নিচে পাওয়া গেল স্কাই শপের মাঝারি পলিথিন ব্যাগ। অফিসে পরিধেয় ফরমাল ফুল হাতের শার্ট, প্যান্ট, মোজা, জুতা এবং একটা গামছা আমি ব্যাগে ঢুকিয়ে নিলাম। এবার টাইট করে একটা গিট্টু দিয়ে ব্যাগটির মুখ বন্ধ করে দিলাম। এই ব্যাগটি বৃষ্টি এবং রাস্তার কাদাপানি থেকে আমার পোশাকগুলো রক্ষা করবে। পরবর্তী ধাপে আমাকে তৈরী করতে হবে একটা ভেলা যা আমাকে কোমর পানিতে চলতে সাহায্য করবে ও গণ-পরিবহনের সার্পোট দিবে। বৃষ্টি পাতের কথা চিন্তা করে আমি প্লাষ্টিকের পানির বোতল, স্প্রাইট এর বোতল, দাদা সয়াবিনের বোতল ও ককশিট সংরক্ষণ করে রেখেছিলাম। সেগুলো এখন কাজে লাগাতে হবে। আমি ঘরের আনাচ-কানাচ খুজে সব বোতল ও ককশিট এক স্থানে জড়ো করলাম। তারপর দড়ি দিয়ে বেঁধে বোতল ও ককশিট দিয়ে ভেলা বানালাম। ভেলাটি আমাকে বহন করতে যথেষ্ট উপযুক্ত মনে হচ্ছে। তবে আসল পরীক্ষা হবে পানিরত নামার পর। ভেলার মধ্যে রাখতে হবে মাঝারি সাইজের দড়ি ও বৈঠার মত একটা কিছু। ওজন কমানোর জন্য বৈঠা হিসেবে মেলামাইনের প্লেট যথেষ্ট। মেলামাইনের প্লেট সহজে বহন করা যায়। তাছাড়া পথে ক্ষুধা পেলে এটি খাবার প্লেট হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ও সঙ্গে শরীফ ছাতা রাখতে ভুলবেন না। যাই হোক এবার আমি একটা হাফ পেন্ট এবং মাথায় একটা গামছা বেধেঁ আমার জিনিসপত্র পলিথিন ব্যাগে ঢুকিয়ে বেরিয়ে পরলাম। সকাল থেকে তুমুল বৃষ্টির কারনে ইতোমধ্যে শহরের সব রাস্তায় কোমর পানির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমি সুবিধামত আমার তৈরী বেলা রাস্তার পানির মধ্যে নামিয়ে দিলাম। এবার খুব সাবধানে ভেলায় চেপে বসলাম। একটু এদিক-সেদিক হলে রাস্তার ময়লা পানিতে পওে যেতে হবে। এবার আস্তে আস্তে প্লেট মারতে লাগলাম জিইসি মোওে কিছু প্রাইভেট কার জোরে চলতে গিয়ে আমাকে ময়লা পানি দিয়ে প্রায়ই ভিজিয়ে দিচ্ছিল। কিন্ত আমি ছাতা দিয়ে দক্ষতার সঙ্গে তা প্রতিহিত করতে সক্ষম হই। পথে পথে দেখলাম ভাড়ায় চলিত অনেক রিকসা, বেবী টেক্রি ও প্রাইভেট কার উল্টে পড়ে আছে। এবং অফিসমুখী মানুষের অফিসে যাবার ব্যার্থ চেষ্টা। এভাবে আরও অনেক বাধাঁ বিপত্তিকে হার মানিয়ে আমি ভিজিটর আসার পূর্বে অফিসে পৌছতে সক্ষম হলাম। এবার অফিস বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আমার অফিসিয়াল পোশাক পরে নিলাম।

শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৭

Make more Attention of Sandwip Well-being

One body after the other was bursting from the bay. The people mourn in the ghats, mourning and lamenting, praying for the return of the missing, living or dead. Sandwip people are shocked and heated on 02 April 2017 Red Boat Tragedy.
Sandwip is an island along the southeastern coast of Bangladesh in the Chittagong District. It is at the estuary of the Meghna River on the Bay of Bengal and separated from the Chittagong coast by Sandwip Channel. It has a population of nearly 400,000. There are fourteen unions, 62 mahallas and 34 villages on Sandwip Island. The island is 50 kilometres long and 5-15 kilometres wide. It is at the north-east side of the Bay of Bengal, near the main port city of Chittagong. It is bounded by Companiganj on the north, Bay of Bengal on the south, Sitakunda and Mirsharai, and Sandwip Channel on the east, Noakhali Sadar, Hatiya and Meghna estuary on the west.
Sunset view of Sandwip
There are several theories about the origin of the name Sandwip (pronounced Shondip) among the locals. Some say that 12 Awlia's (preacher) from Baghdad travelling to Chittagong discovered this island in the middle of the sea and found no people, so they defined it as "Shunno Dip" and which eventually became "Shondip". Sandwip Island in Bangladesh has a great historical legacy. The island itself is about 3000 years old and it has been ruled by many different people over the centuries. It is supposed that Sandwip was connected with Chittagong original land and disconnected by the natural disaster.
Due to geographical location, Sandwip is natural disaster prone areas. In the years 1825, 1876, 1985, 1991 Sandwip was affected by devastating cyclones and tornadoes. On 29 April 1991, the most damaging storm affected the island. The death toll was about 40,000, and 80% of the houses in Sandwip were destroyed. For its remote location of mainland many time, man induced disasters are affected Sandwip people and take of valued life. Sandwip is detached from the mainland of Bangladesh and waterway is the single route to go Sandwip. This route is becoming more terrific at summer season mainly March- September. But anytime any moment it can terrifying not forecasting of the behave of Sandwip-Chittagong route. Sandwip people is crossing the channel through BIWTA Steamer, Private Speed Boat and Fish/Goods traler. In summer season or catastrophic period, all waterways are stoppage on this route. 
Red Boat which carrying passenger from vessel to mainland.
Though as an estuary of Meghna, there is a strong current of water, heavy wave and low velocity of air can make a strong rolling in channel water. In local people are said it rolling. In like manner to cope this physical situation there is no timely communication system is not developed yet. There is the only ghat at Sandwip Guptachara which is merely pull down. And they catchment of the channel is filled with sediment. As a result, the vessel cannot reach the shallower waters near the landings and passengers are carried across to the shore on small boats known as ‘red boats’ for their distinct colour. The condition of the red boat is not well and not maintained safety compliance. For instance, many time it carries over passengers, has not life jacket and rescued materials. And the driver and assistance of this boat are not trained up. These loopholes are sometimes creating dangerous and call for death to innocent people of Sandwip. That a tragedy has happened on 02 April 2017. The boat carrying around 40 persons sank near Ghuptachara Ghat on Sunday night due to rough weather and heavy tidal waves. Some 26 passengers managed to swim ashore or were rescued by locals, police said and rests of them were missing in eternally (18 dead). The dead guys were the teacher, student, the local businessman and community people. Especially, Tahsin (09) and Nova (05) were students of Mastermind Ideal School in the City’s Halishahar, Chittagong. They went to Sandwip to attend their uncle’s marriage ceremony. They never return to their schools. The cruel channel snatches of the innocent lives. Families of the deceased have been given compensation by the Chittagong District Administration. Meanwhile, Chittagong district administration has formed a seven-member probe committee, led by the Sandwip UNO, to investigate the incident. As can be seen, the probe committee may find out the reason of accident, in many cases, deceased families were received compensation. But it is fact that the valued lived never be return. Every life is important to her/his family. And this gap is never filling in any way. As my deem, we can stop the race to death. If we make aware and have taken some initiative such as; bound to use life jacket to all passengers, don’t carry over passengers at the red boat, provide training to red boat drivers. On another way, the government should be taken some long effective infrastructural development, for instance, the long jetty in both sides of Sandwip channel, construct floating bridge or jetty, excavation of Sandwip channel, maintenance the existing ghat, introduce modern water ways. To point out that strong the monitoring system of Sandwip channel. When the sea is unrest and heavy waves then stop to channel crossing, Competency build up of Bangladesh Coast Guard for the quick rescue, a patrol camp of Nou Police should establish on both sides of Sandwip channel. Also, make consultation meeting with Sandwip People for their betterment.
Moreover, the government has collected huge revenue from Sandwip Ghat, also a large portion of Sandwip people are living in different parts of the world and sending remittance. Most of the expatriates are shared that they will assist government on building a bridge in over Sandwip channel. About 5 lack people are deprived of modern facility as well as civic rights and constitutional rights. Till now there is no modern treatment facility, insufficient sanitation facility, insufficient pure drinking water facility, lack of higher and modern education facility, scarcity of electricity, lack of legal service facility, inequality, no job facility and no recreation facility. I visited twice more in Sandwip for my job purposes. I have felt life is very hard there. Living cost is also high but rather income opportunity. Full Sandwip is cover dark after 10 PM and electricity come at 5 to 6 PM. So in total twenty-four hours electricity has only 3 to 4 hours. In that periods also have load shedding. For maintaining official task an official has to start work at afternoon. In a sense, life is so hard in compare with the mainland of Bangladesh. But now solar power being popular at large scale. The second largest solar panel of Bangladesh is situated there. This is trying to cover the need of electricity at Sandwip. Identically, there is a huge opportunity at Sandwip and has a great historical legacy. Being an island, people here tend to seek opportunities outside Chittagong, Dhaka and sometimes overseas. People of Sandwip working overseas are contributing to the country’s economy by sending large quantities of remittance back home. One of the nice things about Sandwip Island in Bangladesh is that it has been formed by silt deposits from the Meghna river. This makes it an incredibly fertile island. Large crops of rice, dal, vegetables, coconuts, battle leave and wheat have all has been grown on the island. Incredible sea beach are there may develop a satellite tourist spot, Sandwip has also gained a reputation for being a premier ship manufacturer which can start again. There also emerging large new islands on the western part of Sandwip which creates another opportunity for Bangladesh. So, Sandwip contributing the national development of Bangladesh and enriching the socio-cultural heritage of Bangladesh. So why not make more attention of Sandwip well-being.  


Source:
- www.bdnews24.com/bangladesh/2017/04/05/death-toll-in-sandwip-boat-capsize-rises-to-17
- www.dhakatribune.com/bangladesh/nation/2017/04/05/sandwip-capsize-death-toll/
- www. en.wikipedia.org/wiki/Sandwip_Upazila

শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

Rangamati is great place for boating and cruising

It's a very interesting way to learn about new cultures and explore new places through travelling. Traveling also creates a space on energizing own self. Not much, to be honest. I don’t get many days off in a year but when I do have time off.  I mainly spend that time with my family or solely to explore new places. In last week i was tremendous busy on performing my regular task. To escape from diligent and make refreshing myself, i am searching for outing. Though, Bangladesh is called the Queen of Beauty. Bangladesh's has tourist attractions include historical and monuments, resorts, beaches, picnic spots, forests and tribal people, wildlife of various species. Activities for tourists include angling, water skiing, river cruising, hiking, rowing, yachting, and sea bathing.


Recently, I made space for travelling at Rangamati with my family on 2-3 February 2017. In that regards, i booked bus ticket as Pharika Express, which was started from Oxygen circle, Chittagong. After riding the bus since 2.10 hours we safely arrived at Rangamati. It's located some 77 kilometres away from Chittagong. Rangamati is connected with the rest of Bangladesh by road and water. Its the only exception district in the country that there was no Rickshaw, due to typical topography. Small and large hillocks are scattered all over the town as well as lake around entire the city. For accommodation, I had rented a room on Hotel Sufia International. Their hospitality is good and the fare is reasonable. After checking the hotel, we came out from the hotel and start to exploring the beauty of Rangamati. Rangamati is a district in south-eastern Bangladesh. It is a part of the Chittagong Division. Rangamati is the largest district of Bangladesh. Rangamati, a small town located amongst the green hills, lakes and rivers of the Chittagong Hill Tracts. It is known as the Lake City of Bangladesh as this place is located on the bank of the beautiful Kaptai Lake.  Rangamati is famous for, scenic beauty, colorful tribal people, tribal homespun textiles and ivory jewelry.


The people of the city are diverse and multi-ethnic. The ethnic tribes of Rangamati are the Chakma, Marma, Tonchongya, Tripura, Murong, Bome, Khumi, Kheyang,  Chak, Pankhoa, and Lusai. The mix of different races, cultures, religions and customs creates an interesting community at Rangamati.  It is said that without visiting Rangamati a tourist will miss a colourful slice of Bangladesh.

Places of Visited Rangamati;
The travel to the greenery place itself is an utterly enjoyable one if you adopt the attitude of an adventurer as it has some significant tourist spots like Kaptai Lake, Hanging Bridge, Chakma King’s residence and Rajban Bihar Pagoda. Here I discussed the place where I was visited.

Hanging Bridge;
This 335feet long bridge across a portion of the Kaptai lake is an icon of Rangamati. It is just 5 kilometres away from Rangamati town. So you can hire a private jeep or CNG auto rickshaw to go there and maximum rent is 120 BDT (CNG).  Actually, Rangamati is famous for this bridge.It’s really a very beautiful bridge. Every year thousands of people come here to visit this bridge and lake.
Hanging Bridge of Rangamati


DC Bungalow Area;
The District Commissioner’s Bungalow is located adjacent to the lake. There is a small lighthouse and a shelter accessible to the public.  This spot provides a nice view of the lake. So you can hire a private jeep or CNG auto rickshaw to go there and maximum rent is 120 BDT. We enjoyed the hilly sunset from DC Bungalow.
Lake City
Sunset view from DC Hill Park


Kaptai Lake;
Kaptai lake, the beautiful blue watery lake was made by man. The size of Lake is approximately 720 sq miles. We enjoyed the natural beauty of this lake as well as boating on the lake. It is a huge lake and it has some tiny islands. It is a great place for boating and cruising. We travelled BNS Shaheed Moazzam Naval Ghat to Natun Bazar through Boat. Here we observed the natural beauty of lake as well as only Hydraulic Power Station Bangladesh. We also enjoyed the beauty of Lake Parades, which was maintained by Bangladesh NAVY.


Hilly Slope Road Rangamati City to Kaptai;
Before going to Kaptai lake, we had travelled Rangamati to BNS SHAHEED MOAZZAM Ghat. Its about 25 KM long zigzag hilly road. The beauty of the road is awesome. This road has been built by the guidance of Bangladesh army. On the way of travelling, we have found a Buddhist Monarchy as named Vanobhanter Srithi Mandir, Baradam. This Monarchy also bears the testimony of effect Kaptai barrage, after barrage, the plain land of Rangamati was submerged under water. A five stored Monarchy was submerged under water now only the apex part monarch are seen. Now a replica of ancient Buddhist Monarchy was built at side of lake which named Vanobhanter Srithi Mandir
Old Mandir was submerged at Lake Water

Vanobhanter Srithi Mandir

BNS Shaheed Moazzam Naval Area;
BNS Shaheed Moazzam is situated in the Rangamati Hill District in the midst of beautiful flora and fauna. It is about 60 kilometres north East of the metropolitan and port city of Chittagong and 25 Kilometres from Rangamati City. Situated at about 180 feet above the mean sea level and surrounded by the hills, mountains, lakes and forests. We enjoyed the exotic panoramic view. In fact, it is a place of scenic beauty that often catches the eyes of nature lovers.
BNS Shaheed Moazzam


Kaptai National Park;
This forest reserve is located in the Karnafuly and Kaptai range. It provides some walking trails among the lush green forest.  The animal species of Kaptai National park are deer, elephants, monkeys, fishing cats and birds.  The Kaptai Forest Rest house, Kaptai Mukh Forest Rest House and several picnic spots are located here.


After finishing the boating from BNS Shaheed Moazzam Naval Area to Kapatai Natun Bazar. Then we hired a CNG to Lichu Bagan, Rangunia, Chittagong. Here we finished our lunch and then ride on Bus on the way to Baddarhat Bus Terminal, Chittagong. And safely reached to my sweet home with my beloved family. I am so happy and relaxed in the journey Because my mother was belonging in the total journey. So, I think it is a great opportunity for me to serve my mother as well as make refreshing me as well as my family.



If you love adventure and wish to enjoy the excellent views of the region, you can travel Rangamati. You can enjoy moonlight night with fantastic lake surroundings and hilly sunset.Echo park with varieties of trees and plants. It is a great place for boating and cruising.