সোমবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৯

চা’য়ের নেশায় চা’য়ের রাজ্যে ভ্রমন

শরীর সুস্থ ও ভালো রাখতে নিয়মিত চা পানের বিকল্প নেই। বাঙালিদের সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় চা। ক্লান্তি দূর করতে চা পানের বিকল্প নেই। ‘‘'চা পানে নাহি দোষ, চা করে চিত্ত পরিতোষ” । সম্ভবত বাঙালিদের মধ্যে সর্ব প্রথম চা পান করেছিলেন জ্ঞান তাপস অতীশ দীপঙ্কর। সম্ভবত ১০২০ সালে তিনি তিব্বত ভ্রমণ করার সময় চা পান করেছিলেন। আঠারশ' শতকের দিকে ব্রিটিশরা আমাদের চা পানে উৎসাহ জোগাতে বিনাপয়সায় আমাদের চা খাওয়াতেন। সংস্কৃতি ও সাহিত্য বিকাশে চা এর অবদান উল্লিখিত। যেন চায়ের পত্তরে রসদ পেতেন লেখার উপকরণ। আমার মনে হয় রবিন্দ্রনাথ, নজরুল ও শরৎ এর সাহিত্য বিকাশে চা পান এর অবদান রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সকালে উঠে তার বিশ্বস্ত বনমালীর হাতে তৈরি এককাপ চা পান না করে লিখতে পারতেন না। 

চা’য়ের উপর ভক্তি থেকে, চায়ের দেশে ভ্রমন করার ইচ্ছা অনেক আগ থেকেই, তবে সেটা অন্যরকম ভাবে। যেমন রাত্রে চা বাগানে অবস্থান করে বাগানের সৌর্ন্দয উপভোগ করা আর অরিজিনাল চা’য়ের ফ্লেভার নেওয়া। ছোট কাল থেকে শুনেছি অরিজিনাল চা নাকি বিদেশে চলে যায়। আর অমরা পান করি চা ফেক্টরির কোরানো চা।  স্বাদ এর সাথে এবার সাধ্য মিলল,  সুযোগ হল চা’ এর দেশে বেড়িয়ে আসবার,  ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ বড় দিনের ছুটির সাথে পারসোনাল ছুটি সমন্বয় করে দু-দিনের ছুটি বাড়িয়ে নিলাম। ২৪ ড়িসেম্বর রাত ১০ টায় উদয়ন এক্রপ্রেস করে শুরু হল চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে যাত্রা। পরের দিন সকাল ৭টায় সিলেট গিয়ে পৌছলাম। এবং সেখানে আমার  বড় আপার বাসায় (স্ত্রীর বড় বোন) উঠলাম যেখানে পূর্বে থেকে আমার পরিবারের সদস্যরা অবস্থান করছে। বড় আপুর প্রতিবেশী সিলেটের একটা নাম করা চা বাগানের ব্যবস্থাপক। আমার ইচ্ছার কথাটি উনি উনার প্রতিবেশীকে আগ থেকে অবহিত করেন। এবং সেই প্রতিবেশী ব্যাপারটিকে সানন্দে গ্রহন করেন এবং আামার এই ভিজিটে উনার চা বাগানে ভ্রমনের আমনত্রন জানান। আমরা সেই অফারটিকে গ্রহন করি। এবং ২৫ ডিসেম্বর বেলা ৩টায় ভাড়া করা গাড়ি করে হবিগঞ্জে, তেলিয়াপাড়ায় চা বাগানে গমনের উদ্দেশ্যে আমরা রওনা হই। সাথে ছিলেন আমার পরিবার, বড় বোনের পরিবার ও বাগান ব্যবস্থাপকের বেগম। আমাদের এই ভ্রমনে সদস্য সংখ্যা প্রায়ই ১১ জন। প্রায় ৩ ঘন্টা যাত্রা করে কাঙ্খিত চা বাগানে পৌছি। তবে পৌছতে পৌছতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। চা বাগানে পৌছেই আমার যাত্রার ক্লান্তি ঘুছিয়ে যায়। অনেকটা বাংলা প্রবাদ প্রবচন এরম মত আগে দর্শনদারী পরে গুণ বিচারী। আমরা পূর্বে থেকেই নির্ধারিত  চা বাগানের বাংলোতে অবস্থান নেই। বাংলোর পরিবেশ ও কাঠামোর সৌর্ন্দয দেখে আমি অভিভূত। এই যেন এক রাজকীয় সৌর্ন্দয। সত্যিই আমি অভিভূত। 

বাংলোর সৌর্ন্দয বিবরণে, বাংলোটি প্রায় ১০ একর জায়গার উপর অবস্থিত, চারদিকে সাজানের ফুল ও ফলেরে বাগান। আর বাংলোটি কাঠর তৈরী দ্বিতল, নিচতলায় সুবিশাল লবি, চারদিকে অর্কিড আর সিজেনাল ফুলের সমাহার, সুবিশাল গোছানো ড্রয়িং রোম, বিস্তুত ডাইনিং ও কিছেন। দ্বিতলে উঠার সিড়িটি পাথরের তৈরী আবার কাঠের রেলিং। বাংলোর দ্বিতলা টা বেশ গুছানো, যেখানে রয়েছে তিনটি বিশাল বেড রুম। প্রত্যেকটি বেড রুম বেশ গুছানো, ছিমছাম ও রয়েছে এটাছ বাথরুম। এবং রয়েছে বিশাল একটি বারান্দা, যেখানে বসার জন্য রয়েছে সুন্দর আয়োজন। 

আমি আমার পরিবারকে নিয়ে দ্বিতলের একটি রুমে উঠি এবং ফ্রেশ হই। পরবর্তীতে আমরা চা শ্রমিকের আমন্ত্রণে বড় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের জন্য রওনা হই। উল্লেখ্য আমাদের ভ্রমণকৃত চা বাগানটিতে প্রায় ১২০০ শ্রমিক ভিন্ন ভিন্ন লেয়ারে কাজ করছে। শ্রমিকের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠি ও ধর্মের জনবল রয়েছে। তার মধ্যে সাওঁতাল, ওরাও, মনিপুরী ও ওড়িস্যা নামক জনগোষ্ঠি উল্লেখযোগ্য। আর ধর্ম দিক থেকে সেখানে হিন্দু, খ্রিষ্টান ও মুসলিম ধর্মাবলী উল্লেখযোগ্য। আমরা ১০ মিনিটের মধ্যে বাংলোর পাশের্^ ও বাগানের মধ্যে অবস্থিত একটি চার্চে যাই। যেখানে খ্রিষ্টান ধর্মাবলীদের আয়োজনে বড় দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করি। উল্লিখিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আদিবাসীদের আয়োজনে গান, নৃত্য প্রদর্শনী হয়। উল্লেখ্য, এখানে একটা সংকটের বিষয় আমি উপলব্দি করি, যেমন প্রদর্শিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিদেশী সংস্কৃতির ব্যাপক প্রভাব পরিল্লখিত হয় এবং পোশাক পরিচ্ছেদে বিদেশী সংস্কৃতির প্রভাব লক্ষনীয়। সেখানে আমি স্থানীয় আদিবাসীর সংস্কৃতির অভাব লক্ষণ করি। চা শ্রমিকদের আতিথিয়তায় আমরা তুষ্ট হই এবং আমরা আবার বাংলোয় ফিরে আসি। বাংলোয় এসে দেখি বার বি কিউ’র আয়োজন। শীতের এই রাতে বার বি কিউ’র আয়োজন প্রক্রিয়া বেশ উপভোগীয়।

 বার বি কিউ’র আয়োজনের ফাঁকে ফাঁকে আমি কথা বলি বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক এর সাথে, কথা বলি বাগান শ্রমিকের স্বার্থ স্লশিষ্ট বিষয়ে। কথার মাধ্যমে উঠে আসে চা শ্রমিকের সুবিধার বিষয়াবলী যেমন, চা শ্রমিকের জন্য আবাসন সুবিধা, রেশন সুবিধা, চিকিৎসা সুবিধা, চা শ্রমিক সন্তানদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা ও উৎসব পার্বণে সহযোগীতা। এবং উঠে আসে চা শ্রমিকের বেতনাদি বিষয়গুলি। স্বিকার করা হয় বেতন তুলনামূলক কম হলেও জীবন যাপনের অন্যান্য সুযোগগুলো চা বাগান কর্তৃপক্ষ থেকে প্রদান করা হয়। অভিযোগ আসে চা-শ্রমিকদের কাজের একাগ্রতার অভাব ও পেশাদারিত্বের অভাবের কথা। তবে চা বাগানের সিবিএর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে এবং এরা শ্রমিকদেও অধিকার আদায়ের ব্যাপারে সচেতন। আমার সার্বিক পর্যবেক্ষণে মনে হয়, চা শ্রমিক সন্তানদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির বেশ ঘাটতি রয়েছে, রয়েছে মান সম্পন্ন শিক্ষার অভাব। ঐ রাতে আমরা বার বি কিউ’র আয়োজন শেষ করে ঘুমাতে চলে যায়। এবং শান্তির একটি ঘুম দেই। 

পরের দিন সকালে (২৬ ডিসেম্বর ২০১৮) ঘুম থেকে উঠে বাংলোর আশপাশ দেখতে বের হই। বাংলো থেকে বাহির হতে চোখে পড়ল একটি  স্মৃতি স্তম্ভ। আমি আগ্রহ ভরে সেই স্মৃতি স্তম্ভ এর নিকট যাই, গিয়ে দেখি সেখানে রয়েছে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি ও ইতিহাস সমৃদ্ধ বেশ কয়েকটি দলিল। 
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মতে এই বাংলোটি মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সেনা দপ্তর। ৪ঠা এপ্রিল ১৯৭১ সালে এই বাংলোতে প্রথম সেনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে কর্ণেল মোহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানিকে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক মনোনিত করে দেশটিকে চারটি সামরিক অঞ্চলে বিভক্ত করে সেক্টর কমান্ডার নির্বাচন করা হয়। মেজর কে এম সফিউল্লার নেতৃত্ব প্রায় ২০০০ সদস্যকে এই বাগানে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই অঞ্চলে মুক্তিবাহিনীর সাথে পাকহানাদার বাহিনীর অনেকগুলো গেরিলা ও সম্মুখ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে অনেক সৈনিক ও মুক্তিবাহিনীর সদস্য শাহাদৎ বরণ করেন। তাই এই চা বাগান ও বাংলোটি মহান মুক্তিযুদ্ধেও ইতিহাসে স্মরনীয় হয়ে আছে। আমি ও আমার পরিবার এই স্মৃতি স্তম্ভ এর সামনে গিয়ে নিরবে কিছুক্ষণ দাড়িয়ে শ্রদ্ধ ও কৃতজ্ঞ ভরে স্মরণ করি সেই সমস্ত মহান মুক্তিযোদ্ধাদের যাদের প্রাণের বিনিময়ে পেয়েছি একটি স্বাধীন বাংলাদেশ। আমি এই গেীরবজজ¦ল ইতিহাসের কথা আমার মেয়েকে (ফাইযা) জানায়। সে খুব আগ্রহ ভরে মুক্তিযুদ্ধের কথা ও মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের কথা শুনে এবং তাদের জন্য দোয়া করে। 

পরবর্তীতে আমরা বাংলোতে ফিরে আসি এবং সকালের নাস্তা সম্পন্ন করি। নাস্তা শেষ করে আমরা সবাই বের হয়ে পরি চা বাগানের সৌর্ন্দয উপভোগ করার জন্য। প্রথমে আমরা চলে যায় সীমান্ত নীকটবর্তী স্থানে যেখানে নেই কোন কাটাতারের বেড়া। সেই স্থান থেকে আমরা বাংলাদেশ আর ভারতের সীমান্ত সৌর্ন্দয উপভোগ করলাম। 
চা বাগান যেন দুই দেশকে এক করে দিয়েছে। চারদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। সবুজ কার্পেট যেন দুই দেশের সেতু বন্ধনের আচ্ছাদন। সীমান্ত আর চা বাগান এর সৌর্ন্দয উপভোগ করে আমরা রওনা দেই সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান দেখতে। গাড়ি থেকে আমরা সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান এর সৌর্ন্দয অবলোকন করি। যেখানে রয়েছে সাড়ি সাড়ি উচুঁ বৃক্ষ, লতা ও গুল্মের সমাহার। মাঝে মধ্যে চোখে পড়ছে বানরের ঝাকঁ। বানরের শব্দে ভাঙ্গছে বনের নীরবতা । প্রকৃতি এখানে উদার, মাঝে মাঝে বনের চুড়া দিয়ে উড়ে যাচ্ছে এক ঝাঁক সাদা বক। এক অপরুপ সৌর্ন্দয়ের আধার যেন সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। প্রায় আধা ঘন্টা সময় ধরে গাড়ি চেপে আমরা সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে আবার তেলিয়াপাড়া চা-বাগানে ফিরে আসি। এখন মিশন শুরু করি পাহাড়ি ছরা দেখার। 

তেলিয়াপাড়া চা-বাগানে প্রায় ১.৫ থেকে ২ কিমি. উত্তর পূর্বে হল এই পাহাড়ি ছরার অবস্থান, যার উৎস হল সীমান্ত তীরবর্তী পাহাড় সমূহ থেকে। শুস্ক মৌসুমে এই ছরায় টাকনু থেকে হাটু সমান পানি থাকে। আমরা ছরার নিকট পৌছার আগ থেকেই ছরার ছল ছল শব্দ শুনতে পেলাম। যা মনের ভিতর বিশেষ ছন্দ তৈরী করল। ছরার কাছে গিয়ে সবাই ছড়ায় নেমে পড়লাম। ছরার উপর দিয়ে আমরা হাটতে শুরু করলাম। আমার মেয়ে তাতে খুব আনন্দিত অনুভব করল। ছরার ¯্রােতের প্রতিকূলে আমরা প্রায় মাইল খানেক হাটলাম। চারদিকে উচুঁ উচুঁ টিলা আর মাঝে ছরা এই মধ্যে আমরা হাটছি এই যেন বিশেষ অনুভূতি যা লিখে প্রকাশ করার মত নয়।
ছরার সৌর্ন্দয উপভোগ শেষে আমরা বাংলো’র উদ্দেশ্যে রওনা দেই। দেখতে দেখতে অনেক বেলা গড়াল এইবার যাবার পালা। বাংলোতে পৌছে গিয়ে দেখি বেয়ারা আমাদের জন্য দুপুরের খাবার প্রস্তত রেখেছে। খাবারে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ আর মেন্যুতে রয়েছে দেশীয় সব খাবার। যেমন ছোট মাছে, মাগুর মাছ, আইর মাছ ও রুই মাছ আর ও রয়েছে মাংস। আমরা সারাদিন ঘুরাঘুরি করে বেশ ক্ষুধার্ত সবাই খুব মজা করে পেট ভরে খেলাম। খাবার শেষে আমরা সবাই চা খেলাম, এই চা দোকনে কেনা চা থেকে অনেক ভিন্ন। এক কাপ চা খাবার পর আমাদের সবার ক্লান্তি যেন ঘুচিয়ে গেল। এবার বিদায় জানানোর পালা।

যার কথা না বললে এই ভ্রমন কাহিনী অতৃপ্ত থেকে যাবে তিনি হলেন এই চা বাগানের বড় মালিক (ব্যবস্থাপক) মহোদয়। উনার আতিথিথেয়তা, সহজ সরলতা, নেতৃত্ব, ব্যবস্থাপনা, ব্যক্তিত্ব সবই আমার কাছে অতুলনীয় মনে হয়েছে। মধ্য বয়সী একটি লোক কিভাবে যেন মন্ত্র মুগ্ধেও মত এত বড় একটি বাগান সুদৃড় ভাবে ম্যানেজ করছেন। উনার জনপ্রিয়তা ও নেতৃত্বের গুনাবলী চোখে পড়েছে বড় দিবস উদযাপনে শ্রমিকদের মাঝে নিজেকে এবং উনার বেগমকে মিশে যেতে। আমাদের প্রত্যেকটা ইভেন্ট ভিজিটে উনি এবং উনার অধীনস্থ সহকর্মীরা উপস্থিত থেকে আামাদের সঙ্গ দিয়েছেন। আমরা সত্যিই বাগান ব্যবস্থাপক ও উনার অধীনস্থ সহকর্মীদের নিকট কৃতজ্ঞ। আর বাগান ব্যবস্থাপক  এর সহ-ধর্মীনি (আপা’র) কথা  না বলেলেই নয়, এই আয়োজন প্রক্রিয়ার প্লান থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্তে সুনিপুন তদারকি করেছেন, যার ফলে আমরা সবাই এই ভ্রমনটিকে উপভোগ করেছি। 

ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি আমাদের বড় আপা (পারভিন আপা) ও দুলাভাই (নাজমুল ভাই) কে, উনারা আয়োজন প্রক্রিয়ায় চালিকা শক্তি ও নিয়ামকের ভূমিকা পালন করার জন্য। উনাদের উদ্যেগ না হলে এই ভ্রমন অসম্ভ হত। আমরা প্রায়ই তিন ঘন্টা’র মধ্যে সিলেট শহরে প্রবেশ করি ও একটি সুন্দর ভ্রমনের ইতি টানি। ভবিষৎ সময় ও সুযোগ ফেলে আবার বেরাতে যাব হবিগঞ্জের, মাধবপুর উপজেলার, তেলিয়াপাড়া চা বাগানে।