পৃথিবীর তিনভাগ জল আর একভাগ স্থল। পৃথিবী সৃষ্টির রহস্য লুকিয়ে আছে সমুদ্রে। সমুদ্রে কত প্রজাতির প্রাণি আছে তার সঠিক তথ্য বিজ্ঞানীরা এখনো সঠিকভাবে বলতে পারেনি। ভবিষ্যতে হয়তো জানা যাবে। মনে করা হয়, সমুদ্রের মাত্র এক-দুই শতাংশ প্রাণীকুল সম্পর্কে আমরা জানতে পেরেছি। সমুদ্রে যত প্রাণী রয়েছে তার মধ্যে প্রবাল (Coral) এক বিষ্ময়কর প্রাণী। প্রাথমিক দৃষ্টিতে প্রবালকে জড়বস্ত মনে হলেও আসলে এরা জীবন্ত সামুদ্রিক প্রাণী। অন্যান্য স্বাভাবিক প্রাণীর ন্যায় এরা খাবার গ্রহণ করে, বংশবিস্তার করে কিন্ত চলাফেরা করতে পারে না। সাগরতলে এক জায়গায় ঘাঁটি গেড়ে সরাটা জীবন কাটিয়ে দেয়। প্রাণীজগতে এদের স্থান অ্যান্থোজোয়া শ্রেণীতে, এরা অমেরুদন্ডী এবং অনেকগুলো প্রজাতি আছে।
এক একটা প্রবাল-প্রাণীকে বলা হয় পলিপ। এই পলিপগুলো সাধারণত আকারে খুবই ছোটো (মাত্র ১/২ মিলিমিটার লম্বা)। এরকম হাজার হাজার প্রবাল-পলিপ সমুদ্রের নিচে কলোনি বানিয়ে একসাথে বাস করে। এই কলোনি থেকেই গড়ে ওঠে প্রবাল প্রাচীর ও প্রবাল দ্বীপ। ধারনা করা হয়, বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বিপ সেন্ট মার্টিন এভাবে গড়ে ওঠেছে। প্রবালের পলিপ নিজের দেহের ওপর ক্যালসিয়াম কার্বোনেট দিয়ে এক বিশেষ খোলস তৈরি করে। একই কলোনির হাজার হাজার পলিপের খোলস পরস্পর জুড়ে গিয়ে ক্রমশ একটা বড়ো কাঠামো গড়ে ওঠে। সেই কাঠামোর ওপরে প্রবাল-পলিপরা মারা যাওয়ার পর সেখানে বেড়ে ওঠে নতুন পলিপদের কলোনি। এই ভাবে শত শত বছর ধরে একটু একটু করে বাড়তে বাড়তে সমুদ্রের নিচে রূপ নেয় প্রবাল প্রাচীর (Coral Reef)। প্রবাল প্রাচীরগুলো দেখতে অপূর্ব সুন্দর। এগুলো বাদামি, লাল, নীল, সবুজ, হলুদ, সোনালি, ইত্যাদি নানান রঙে রঙানো থাকে। প্রবালে বসবাসকারী অ্যালজি, স্পঞ্জ ও অন্যান্য জীবরা এতে নানান উপাদান যোগ করে এর বর্ণবৈচিত্রকে আরো বাড়িয়ে তোলে।
প্রবালের খাওয়াদাওয়া, বংশবিস্তার সব কিছুই অদ্ভুত। প্রবাল প্রাণী, তাই তারা উদ্ভিদের মতো নিজেদের খাবার নিজেরা তৈরি করতে পারে না। প্রবালের পলিপগুলো তাদের ছোট ছোট হাত টেন্টাকেলের মাধ্যমে সাগরের জলে ভেসে আসা অতিক্ষুদ্র প্রাণী-প্ল্যাঙ্কটন শিকার করে খায়। সাধারণত রাতের বেলায় এরা এইভাবে শিকার করে খাবর খায়। তবে এইভাবে পলিপগুলো তাদের পুষ্টি চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ পূরণ করে। এদের পুষ্টির বেশিরভাগটা আসে এদের দেহকলায় আশ্রয় নেওয়া অতিসূক্ষ্ম অ্যালজিদের (Zooxanthellae) কাছ থেকে। অ্যালজিদের সাথে প্রবালের বন্ধুত্ব অতি ঘনিষ্ঠ। অ্যালজিরা প্রবাল থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড নিয়ে সূর্যের আলো ব্যবহার করে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার খাবার তৈরি করে। এই তৈরি খাবারের ভাগ পায় প্রবাল। অ্যালজিরা খাবার তৈরির সময় অক্সিজেন ও জৈব উপাদান উৎপাদন করে যা প্রবাল খাবার হিসেবে গ্রহণ করে। এই প্রক্রিয়াকে সিমবায়োটিক পদ্ধতি বলে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে এই ক্ষুদ্র প্রাণী প্রবাল কোটি কোটি বছর টিকে আছে। এছাড়াও প্রবাল সাগরের জল থেকে অজৈব ক্যালসিয়াম, নাইট্রোজন, ফসফরাস, ইত্যাদি শোষণ করে কাজে লাগাতে পারে। অ্যালজিরা প্রবালের রং নির্ণয়েও ভূমিকা রাখে।
প্রবালের প্রজনন বা বংশবিস্তারঃ
প্রবাল সাধারণত দুইভাবে প্রজনন ও বংশবিস্তার করে যেমন; অযৌন এবং যৌনভাবে। অযৌন প্রজননে, নতুন ক্লোনাল পলিপগুলি পিতামাতার পলিপ থেকে অঙ্কুরিত হয় এবং নতুন উপনিবেশ তৈরি করে। এটি ঘটে যখন পিতামাতার পলিপ একটি নির্দিষ্ট আকারে পৌঁছায় এবং বিভক্ত হয়। এই প্রক্রিয়াটি প্রবালের জীবন জুড়ে চলতে থাকে। যৌন জননের ক্ষেত্রে অন্তঃনিষেক ও বহিঃনিষেক, দুই-ই হয়ে থাকে। বহিঃনিষেকের জন্য প্রবালের পছন্দ বসন্তকাল। এই সময় পূর্ণিমা থেকে পরপর ক’দিন, জোছনা রাতে সাগরজলের মায়াবী পরিবেশে প্রবাল প্রাচীরের পলিপরা ডিম্বাণু ও শুক্রাণু ছড়িয়ে যৌন জননে মেতে ওঠে। ডিম্বাণু ও শুক্রাণুগুলোর মিলনে জন্ম নেয় নতুন নতুন পলিপ।কিভাবে প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন গড়ে ওঠেছেঃ
সমুদ্রের বুকে প্রবাল প্রাচীরগুলো খুব ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে। প্রবাল বংশ বিস্তারের জন্য সমুদ্রজলের উষ্ণতা ২০ সেঃ- ২১ সেঃ আদর্শ িএবং সে অংশে সূর্যালোক পৌঁছা আবশ্যক। তাই গ্রীষ্মমন্ডলীয় অংশে প্রবাল দ্বীপ গড়ে ওঠেছে। প্রবাল প্রাচীর লক্ষ লক্ষ বছর ধরে বাড়তে বাড়তে একসময় ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তনের ফলে দ্বীপে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীর বৃহত্তম প্রবাল প্রাচীর হলো অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড উপকূলের কাছে অবস্থিত গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ। সেন্টমার্টিন দ্বীপটি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। সেন্ট মার্টিন দ্বীপ মূলত জীবন্ত প্রবাল দ্বারা গঠিত। প্রবাল পলিপ নামক সামুদ্রিক প্রাণী চুনযুক্ত কঙ্কাল তৈরি করে। এই কঙ্কাল একে অপরের সাথে যুক্ত হয়ে প্রবাল প্রাচীর গঠন করেছে। ধারনা করা হয়, প্রাচীনকালে বঙ্গোপসাগরের পানির তলদেশে প্রবাল বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ধীরে ধীরে স্তূপ আকারে উঁচু হতে শুরু করে। ভূগোলবিদদের মতে, বঙ্গোপসাগরের তলদেশে টেকটোনিক প্লেটের ধাক্কা ও আন্দোলনের ফলে এক ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের কিছু অংশ উঁচু হয়ে দ্বীপ হিসেবে উত্থিত হয়। এবং পরবর্তিতে প্রবাল গঠনের আর্দমিক পরিবশে পেয়ে বঙ্গোপসাগরের পানির তলদেশে প্রবাল বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ধীরে ধীরে স্তূপ আকারে উঁচু সেন্টমার্টিন দ্বীপ গড়ে ওঠে। প্রবাল প্রাচীরের সাথে পলি ও বালি জমা হয়ে দ্বীপের মাটি শক্ত হয়। সময়ের সাথে সাথে ঢেউ, বায়ুপ্রবাহ এবং সমুদ্রের স্রোত দ্বীপটির প্রান্তে পরিবর্তন ঘটায়। এই প্রক্রিয়া সেন্ট মার্টিনের আকৃতি ও গঠনকে আরও উন্নত করে।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সুনির্দিষ্ট বয়স নির্ধারণ করা কঠিন, কারণ এটি প্রাকৃতিকভাবে গঠিত এবং এর গঠন প্রক্রিয়া কয়েক হাজার বছর ধরে চলেছে। তবে ভূতাত্ত্বিক গবেষণার ভিত্তিতে ধারণা করা হয় যে, সেন্ট মার্টিন দ্বীপের গঠন শুরু হয়েছিল প্রায় ৬,০০০ থেকে ৭,০০০ বছর আগে। প্রবাল গঠনের হার খুবই ধীর, প্রতি বছরে মাত্র কয়েক মিলিমিটার। এর ভিত্তিতে বোঝা যায় যে দ্বীপটি কয়েক হাজার বছর ধরে ধীরে ধীরে গঠিত হয়েছে।
প্রবাল প্রাচীর গড়ে ওঠার কারণ ও সহায়ক নিয়ামকঃ
১. সমুদ্রজলের উষ্ণতা ও গভীরতা : প্রবাল কীটের পলিপের বংশ বিস্তারের জন্য সমুদ্রজলের উষ্ণতা অবশ্যই ২০ সে.-২১ সে. হওয়া দরকার এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬০-৭৫ মিটার গভীরতায় প্রবালকীট পলিপ বৃদ্ধির সহায়ক, কারণ এই গভীরতা পর্যন্ত অংশে সূর্যালোক পৌঁছায়।
২. জলের আলোড়ন ও সমুদ্র স্রোত : জলের আলোড়ন ও সমুদ্রস্রোত প্রবাল কীট পলিপের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও অক্সিজেনের জোগান অব্যাহত রাখে। এজন্য জীবন্ত প্রবাল কীট উপহ্রদের পরিবর্তে উন্মুক্ত সমুদ্রে বেশি লক্ষ্য করা যায়।
৩. পলিমুক্ত স্বচ্ছ জল : প্রবাল কীটের মুখে পলিকণা জমতে থাকলে তারা অক্সিজেন নিতে পারে না। ফলে এরা পরিপাক করতে পারে না ও মারা যায়। সেই জন্য পলিমুক্ত স্বচ্ছ জল দরকার।
৪. মিষ্টি জলের প্রভাব মুক্ততা : পরিষ্কার মিষ্টি জল প্রবাল কীটের পক্ষে ক্ষতিকর বলে মোহানা থেকে দূরে এরা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়।
৫. লবণতার পরিমাণ : প্রচুর পরিমাণে চুনের কার্বোনেট প্রবাল কীটের প্রধান খাদ্য। জলের গড় লবণতা ২৭% থেকে ৪০%-এর বেশি হয়ে গেলে ওই কার্বোনেটের পরিমাণ কমে যায় এবং প্রবালকীট বংশবিস্তার করতে ব্যহত হয়।
৬. অন্তঃসাগরীর মঞ্চের অবস্থান : তটভূমি বরাবর ১০০ মিটার গভীরতায় মহাদেশীয় শক্ত শিলার উপস্থিতি প্রবাল কীটের সুদৃঢ় ভিত্তি স্থাপনের সহায়ক।
সেন্ট মার্টিন প্রবাল দ্বীপের গুরুত্বঃ
সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। পাথুরে এ দ্বীপটি তার অনন্য জীববৈচিত্র্য এবং প্রবালসমৃদ্ধ পরিবেশের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। এটি কেবল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য নয়, জীববৈচিত্র্য, পরিবেশগত সুরক্ষা, এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৯৭ সালের পর থেকে এ দ্বীপের প্রাণ-প্রকৃতি নিয়ে কোনো পূর্ণাঙ্গ সরকারি জরিপ হয়নি। ১৯৯৭ সালে কানাডিয়ান সমুদ্রবিজ্ঞানী থমাস তমাসিকের নেতৃত্বে একটি গবেষণায় সেন্টমার্টিনের সমৃদ্ধ প্রাণ-প্রকৃতির তথ্য পাওয়া যায়। সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রবাল দ্বীপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
জীববৈচিত্র্যের আশ্রয়স্থলঃ প্রবাল দ্বীপকে "সামুদ্রিক বন" বলা হয়। এটি বিশ্বের ২৫% সামুদ্রিক প্রাণীর জন্য বাসস্থান সরবরাহ করে। সমুদ্রতলের মাত্র ১ শতাংশ জায়গা দখল করে থাকা প্রবাল প্রাচীরগুলো সমস্ত সামুদ্রিক প্রজাতির প্রায় ২৫ শতাংশকে আশ্রয় দেয়। সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্রবালের পাশাপাশি মাছ, কাঁকড়া, শামুক, ডলফিন, সামুদ্রিক কচ্ছপসহ অসংখ্য সামুদ্রিক জীবের বাসস্থান রয়েছে। এখানে বেশ কয়েকটি বিরল এবং হুমকির মুখে থাকা প্রাণী যেমন অলিভ রিডলে কচ্ছপ দেখা যায়। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, দ্বীপটিতে রয়েছে ৬৬ প্রজাতির প্রবাল, ১৮৭ প্রজাতির শামুক-ঝিনুক, ১৫৩ প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল এবং কচ্ছপ, কাঁকড়াসহ অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী। তবে এসব তথ্য দীর্ঘদিন ধরে হালনাগাদ হয়নি। বিচ্ছিন্ন কিছু গবেষণায় প্রবালের সংখ্যা কমার প্রমাণ মিললেও নতুন স্থানে প্রবালের জন্মও লক্ষ্য করা গেছে।
পর্যটন শিল্পে ভূমিকাঃ সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। এর স্বচ্ছ নীল পানি, প্রবাল পাথর, এবং মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করে। প্রতিবছর ৪-৫ লক্ষ পর্যটক এই দ্বীপে ভ্রমন করে থাকেন। পর্যটন থেকে স্থানীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হয় এবং অনেক মানুষের জীবিকা নির্বাহের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
উপকূলীয় সুরক্ষাঃ দ্বীপটি বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকাকে জলোচ্ছ্বাস ও ঝড়ের প্রভাব থেকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। প্রবাল প্রাচীর প্রাকৃতিক বাঁধের মতো কাজ করে, যা সাগরের ঢেউ ও জোয়ারের তীব্রতা কমায়।
পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষাঃ প্রবাল প্রাচীর সমুদ্রের জলের গুণগত মান উন্নত করে এবং সামুদ্রিক খাদ্যজাল বজায় রাখে। এটি কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে ভূমিকা রাখে।
গবেষণা ও শিক্ষাঃ সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য নিয়ে গবেষণার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি উন্মুক্ত ল্যাবরেটরি, যেখানে তারা সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র সম্পর্কে শিক্ষা নিতে পারে।
স্থানীয় সংস্কৃতি ও জীবিকাঃ স্থানীয় মানুষের জীবিকার একটি বড় অংশ মাছ ধরা এবং পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত। দ্বীপটির পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব স্থানীয় সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সরেজমিনে দেখা গেছে, গত দু'দশক ধরে পর্যটনে নির্ভর দ্বীপবাসী পূর্ব পুরুষদের পেশা মাছ ধরা ধীরে ছেড়ে দিয়েছে। ছেড়ে দিয়েছে পুরো দমে চাষাবাদও।
ঔষধি ও প্রাকৃতিক সম্পদঃ সেন্ট মার্টিনের প্রবাল প্রাচীর থেকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান পাওয়া যায়, যা ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার হতে পারে। প্রবাল প্রাচীর থেকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক যৌগ সংগ্রহ করা হয়, যা ক্যান্সার, এইচআইভি, আর্থ্রাইটিস, এবং অন্যান্য রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়।