শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হল ব্যক্তির দেহ-মনের উন্নয়ন ও বিকাশের মাধ্যমে সুনাগরিক গড়ে তোলা, মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করা, জ্ঞান, দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে সৃজনশীল, উৎপাদনশীল ও বিশ্বমানের মানুষ গড়া। খ্রিস্টের জন্মের সাত’শ বছর আগে চৈনিক দার্শনিক কুয়ান চাং (Kuan Chang) বলেছিলেন If you plan is for one year, plant rice. If you
plan for ten years, plant trees. If you plan for hundred years, educate
children. শিক্ষা মানুষের আশা আকাঙ্খা জাগ্রত করে, জীবনকে সমৃদ্ধ করে, জাতিকে উন্নত করে। উন্নত বিশ্বর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তারা তাদের যুব সমাজকে প্রযুক্তি ও চাহিদা নির্ভর কর্মপযোগী শিক্ষা শিক্ষিত করে জাতি হিসেবে উন্নত হয়েছে, পাশাপাশি উচ্চ আয়ের দেশ ও অর্থনৈতিক মডেল হয়েছে। এই জন্য ২০৪১ এর মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হতে হলে এই দেশের ৬কোটি যুবককে প্রযুক্তি ও চাহিদা নির্ভর কর্মপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত করা আজ সময়ের দাবি।
শিক্ষা মানুষের অধিকার, ১৯৪৮ সালের মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে’র ২৬ নং অনুচ্ছেদে ঘোষণা করা হয়েছে প্রত্যেকেরই শিক্ষার অধিকার রয়েছে। বাংলাদেশ এই ঘোষণাপত্রের অনুস্বাক্ষরকারী দেশ। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা সুবিধা পাওয়ার অধিকার রাখে। শিক্ষাকে বাংলাদেশ সরকার গুরুত্ব দিয়ে আসছে, তার প্রেক্ষিতে আমাদের সাফল্যও প্রশংসনীয়। বর্তমানে স্বাক্ষরতার হার ৭২.৮৯ শতাংশ। এদের মধ্যে পুরুষ হার ৭৫.৭০ শতাংশ আর নারীর স্বাক্ষরতার হার ৭০.০৯ শতাংশ। নারী শিক্ষার অগ্রগতী প্রশংসনীয়, অনেক ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীরা ভাল ফলাফল করছে। স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীর সংক্ষ্যা বাড়ছে, ১৯৯০ সালে মাত্র ৬০ শতাংশ শিশু স্কুলে নিবন্ধিত ছিল, ২০১৫ সালে তা বেড়ে ৯১ শতাংশে উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে তা বেড়ে চলছে। আশা করা যায় বিদ্যালয়ে শিশুদের জন্য সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার সরবরাহ করা হলে তা ১০০ শতাংশে উন্নতি হবে এবং ঝড়ে পড়া শিশুর সংখ্যা কমে আসবে।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা তিন স্তর বিশিষ্ট- প্রাথমিক স্তর, মাধ্যমিক স্তর এবং উচ্চশিক্ষা বা বিশ্ববিদ্যালয় স্তর। সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হয় ৫ বছর মেয়াদী প্রাথমিক, ৭ বছর মেয়াদী মাধ্যমিক - এর মধ্যে ৩বছর মেয়াদী জুনিয়র, ২ বছর মেয়াদী মাধ্যমিক এবং ২ বছর মেয়াদী উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়। বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশে তৃতীয় পর্যায়ে অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা ৩-৫ বছর মেয়াদি। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত ৩৬টি পাবলিক ও ৭৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন -এর তত্ত্বাবধানে অধিভুক্ত কলেজের মাধ্যমে এ শিক্ষা দেয়া হয়। শিক্ষার্থীরা শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বাংলা বা ইংরেজির মধ্যে যেকোনোটিকে বেছে নিতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় হলো শিক্ষার জন্য রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দফতর। এর অধীন কয়েকটি অধিদপ্তরে রয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প (শিক্ষা প্রকল্প ও কারিগরি প্রকল্প )’র মাধ্যমে এ অধিদপ্তরসমূহের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দশটি (১০) শিক্ষা বোর্ডে অধিভুক্ত। বোর্ডগুলো তিনটি পাবলিক পরীক্ষা পরিচালনা কওে; জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা,মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা এবং উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা। বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ ব্যুরো অব এডুকেশনাল ইনফরমেশন অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিক্স (ব্যানবেইনস) গঠন করেছে, যা সব পর্যায়ের শিক্ষাসংশ্লিষ্ট তথ্য সংরক্ষণ করে (সূত্রঃ www.moedu.gov.bd )।
বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সময়ে গঠিত বিভিন্ন শিক্ষা কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য ও অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে একটি শিক্ষানীতি প্রকাশ করেছে। ১৮৫৪ সালে ব্রিটিশ আমলে উডস এডুকেশনাল ডেসপাচের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষানীতি বা শিক্ষা কমিশনের যাত্রা শুরু। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ড. কুদরত-ই-খুদার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৭২ সালে একটি শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়। এ পর্যন্ত কুদরত-ই-খুদা কমিশন রিপোর্টের ভিত্তির ওপর সমসাময়িক বাস্তবতা ধারণের চেষ্টা করা হয়েছে সব শিক্ষা কমিশনের নতুন রিপোর্টে। সর্বশেষ কবির চৌধুরীর নেতৃত্বে ২০০৯ সালের রিপোর্ট, বর্তমানে কার্যকর রয়েছে। এত এত রিপোর্টের পরেও কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় মূলনীতি পাশ কাটানো চলছেই।
প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় ৩.২ মিলিয়ন শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা বা বিশ্ববিদ্যালয় স্তর ভর্তি হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মতে ২০৩০ সাল নাগাদ উচ্চশিক্ষা বা বিশ্ববিদ্যালয় স্তর শিক্ষার্থী সংখ্যা হবে প্রায়ই ৪.৬ মিলিয়ন। এবং এই উচ্চশিক্ষা স্তরের ৭২ শতাংশ শিক্ষার্থী হল জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের অধিভূক্ত শিক্ষার্থী। প্রতিবছর শ্রম বাজারে অর্ন্তভূক্ত হচ্ছে ২.২ মিলিয়ন গ্রাজুয়েট । তাদের মধ্যে মাত্র ৮-১০ হাজার গ্রাজুয়েট সরকারী ও আধা সরকারী চাকুরীর সুযোগ পায়। প্রায়ই ১-২ লাখের মত বেসরকারি চাকুরীর সুযোগ পান। ৮-১০ লাখের মত বিদেশে শ্রম অভিবাসী হিসেবে কাজ করতে যান। আর ব্যাপক একটি অংশ বেকার থাকেন (যার কোন সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই)। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতি ১০ জন গ্রাজুয়েট এর মধ্যে ০৫ জনই বেকার। গবেষণায় বলা হয়, এই গ্রাজুয়েট পাস বেকার সংখ্যার বৃদ্ধির পেছনে কারণ হল, প্রাইভেট বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষার নিম্নমান ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গতানুগতিক পুরানো পাঠক্রম। বর্তমানে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা শুধু সার্টিফিকেট নিয়ে বের হচ্ছে। আর শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে এই সার্টিফিকেট শুধুমাত্র একটি প্রিন্টেড কাগজ যা, অপনাকে প্রতিযোগিতায় প্রবেশের এন্ট্রিকার্ড মাত্র। বর্তমানে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় সার্টিফিকেটধারী গ্রাজুয়েট তৈরী করছে কিন্ত উৎপাদনশীল মানবসম্পদ নয়। তার কারণ হল, একজন উচ্চ মাধ্যমিক পাশ শিক্ষার্থী মনে করে তাকে যে কোন ভাবে গ্রাজুয়েটধারী হতে হবে। তাই গ্রাজুয়েট সার্টিফিকেট এর জন্য সে চার থেকে ছয় বছর ব্যায় করে একটি গ্রাজুয়েট সার্টিফিকেট অর্জন করে, যা মূলত অর্থহীন। মুনাফালোভী কিছু উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়িক স্বার্থে শিক্ষার্থীদেরকে গতানুগতিক শিক্ষার সার্টিফিকেট প্রদান করে যাচ্ছে। কিন্ত ভবিষ্যত কর্মপযোগী শিক্ষা দিচ্ছে না। আমরা জানি, ফিনল্যান্ডের শিক্ষা ব্যবস্থা বিশে^র অন্যতম সেরা শিক্ষা ব্যবস্থা। ফিনল্যান্ডে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত কারিগরী শিক্ষার কোর্স গ্রহন করতে হয়। সিভিল সার্ভিসে কাজ করার আগ্রহ থাকলে স্নাতক ডিগ্রির জন্য কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হয়। কেবলমাত্র স্কুল শিক্ষকদের জন্য মাস্টার্স এবং গবেষকদের জন্য পিএইচডি ডিগ্রি থাকতে হয়।
আমাদের শিক্ষার্থীদের স্নাতক ডিগ্রির জন্য যে উম্মত্ততা তা কমাতে হবে। বিষয় ভিত্তিক পারদর্শিতাকে কাজে লাগিয়ে কারিগরি শিক্ষায় মনোনিবেশ করতে হবে। এবং রাষ্ট্রকে এই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণতি হতে হলে অন্তত এই পরিবর্তনটুকু আমাদের করতে হবে। যুবদের প্রযুক্তিগত ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় যেতে উৎসাহিত করতে হবে। নতুন নতুন প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে, উপজেলায় উপজেলায় বৃত্তিমূলক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যুবদের জন্য ভবিষৎত কর্মপযোগী বিষয় ও ট্রেড এই সমস্ত ইনস্টিটিউটে চালৃ করতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে আকৃষ্ট করতে হবে।
এটা লক্ষনীয়, ১০ বছর আগে, যারা উচ্চ বিদ্যালয়ে পাস করেছে তাদের মধ্যে মাত্র এক শতাংশ বৃত্তিমূলক বা প্রযুক্তিগত প্রতিষ্ঠানে ভর্ত্তি হত। বর্তমানে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ শতাংশ। আশা করা হচ্ছে যে হারে তালিকাভুক্তি বাড়ছে, ২০২১ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ২০ শতাংশ পর্যন্ত যেতে পাওে, এটি একটি ভাল লক্ষণ। তবে উদ্বেগজনক বিষয় হ'ল মৌলিক বিজ্ঞানগুলিতে ভর্তিও সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। এটি একটি বিশ্বব্যাপী ঘটনা, এবং যদি এটি পরিবর্তন না হয় তবে নতুন জ্ঞান তৈরি করা কঠিন প্রমাণিত হতে পারে। ¯œাতক পর্যায়ে নতুন শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জনের সুযোগ ও আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ধরে রাখা বা শিক্ষকদের অবসর বয়স বাড়ানো। অনেক দেশে, নির্দিষ্ট পেশাদাররা অবসর গ্রহণ করেন না, তাদের মধ্যে অন্যতম শিক্ষক। চাহিদা নির্ভর কর্মপযোগী কোর্সের জন্য পাঠক্রম তৈরীর জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শিল্প বা নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে ইনপুট নেওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই। তেমনিভাবে বিশ^মানের ও নিজের প্রয়োজনমাপিক কর্মী তৈরীর জন্য শিল্প বা নিয়োগকর্তাদের কোন পরিকল্পনাও নেই। অনেকক্ষেত্রে শুনতে হয়, চাকুরী আছে কিন্ত ভালো মানের কর্মী পাওয় যাচ্ছে না। তাই অনেক ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তারা বিদেশ বা পাশর্^বর্তী দেশ থেকে জনবল নিয়োগ করে থাকেন। গবেষণায় দেখা যায়, বর্তমানে বাংলাদেশে ৪০০,০০০ বিদেশী বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছেন এবং ৫ বিলিয়ন ডলার এই দেশ থেকে তারা নিয়ে যাচ্ছেন। আর অপরপক্ষে প্রায় ১০ মিলিয়ন বাংলাদেশী প্রবাসী মধ্যপ্রাচ্য সহ পৃথিবীর বিভিন্নদেশে কাজ করে বছরে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছেন ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। স্থানীয় নিয়োগকর্তারা বিদেশী কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বলেন যে, দেশে দক্ষ, শিক্ষিত জনবলের অভাব রয়েছে। এই ক্ষেত্রে স্থানীয় নিয়োগকর্তারা দক্ষ কর্মী তৈরীতে বিনিয়োগ করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে দুটি লাভ এক দক্ষ জনশক্তি তৈরী হবে। দেশীয় কর্মসংস্থানের চাহিদা মেটাবে ও দেশের টাকা দেশে থাকবে। বোনাস হিসেবে বাংলাদেশীরা বিদেশে কর্মসংস্থান যুগিয়ে দেশে বেশি করে রেমিট্যান্স পাঠাবে, দেশের অর্থনীতি দৃড় হবে।
বাংলাদেশের যুবকদের মধ্যে আইটি বা কম্পিউটার সাক্ষরতা বাড়াতে হবে। বাংলাদেশে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর বেশিরভাগের মধ্যে আইটি ধারণাটি ইন্টারনেট ব্রাউজিং বা ফেসবুকের মধ্যে সীমাবদ্ধ।ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম দ্বারা প্রকাশিত গ্লোবাল প্রতিযোগিতা সূচক অনুসারে, ১৩৮ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ আইটি প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে ১০৬ তম স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশে আইটি সম্পর্কিত বেশিরভাগ শীর্ষ চাকরি বিদেশী আইটি বিশেষজ্ঞরা করছেন। আমাদের বিশ^বিদ্যালয় ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এই ব্যাপারে আরও মনোযোগী হতে হবে। যাতে আামদেও শিক্ষার্থীরা দেশের চাহিদা মিটিয়ে গুগল, ইয়াহু, ফেসবুক এরম ত ওয়ার্ল্ড লিডিং আইটি প্রতিষ্ঠানে জব করতে পারে। তাই আমাদের আর কালক্ষেপন করা যাবে না, শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি গুনগত প্রযুক্তি ও চাহিদা নির্ভর কর্মপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে বাজেটের বরাদ্দ বাড়াতে হবে। স্বল্প বরাদ্দ দিয়ে উচ্চশিক্ষার উন্নতি ও প্রযুক্তি শিক্ষার প্রসার করা যায় না।
টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট (এসডিজি) অর্জনে যুবদের জন্য প্রযুক্তি, চাহিদা নির্ভর কর্মপযোগী এবং মান সম্পন্ন শিক্ষা করতে হবে। আজকে যারা যুব ২০৩০ সালের মধ্যে তারাই দেশ পরিচালনা করবে। তাই টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট (এসডিজি) অর্জনে যুবদের কার্যক্রর অংশগ্রহন খুবই প্রয়োজনীয়। যুবদের জন্য চাহিদা নির্ভর কর্মপযোগী এবং মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে হিসেবে প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা কাঠামো চালু করে, ডিজিটাল বাংলাদেশের গড়ে তোলার ব্যপারে কার্যক্রর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। এসডিজি অর্জনে যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। প্রানিÍক ও বিশেষ জনগোষ্ঠির যুবদের মত প্রকাশ ও উন্নয়নে অংশগ্রহন করার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। যুব উদ্যোক্তাদের জন্য বাজার সৃষ্টি (স্থানিক ও বৈশি^ক পর্যায়ে), উদ্যোক্তা হিসেবে আত্ম-প্রকাশের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা, যুবদের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ করা, সরকারি ও বেসরকারি চাকরিতে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ক্ষেত্র নিশ্চিত করা। বেসরকারি ও উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান সমূহ যুব উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা, কারিগরি প্রশিক্ষণ ও বৃত্তিমূলক কোর্স বাস্তবায়ন বিষয়ক প্রকল্প বেশী করে চালু করা। আর সর্বোপরী যুবদের মন-মানষিকতা পরিবর্তন করতে হবে। চাকুরি না খোঁজে উদ্যোক্তা হবার মানষিকতা তৈরী করতে হবে। গতানুগতিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়ে প্রযুক্তি ও চাহিদা নির্ভর কর্মপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন